প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এ দিনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর মুখ্যসচিব বলেন, ‘১০টি দাবির মধ্যে ৭টি দাবির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার কিছুটা কাজ করেছে, বাকিটা করা হচ্ছে। আর সেই কাজের দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। কী কী কাজ করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে অগ্রগতি কতটা সেই স্টেটাস রিপোর্টও কয়েকদিন আগে আমরা সকলকে পাঠিয়েছিলাম।’
মুখ্যসচিব আরও বলেন, ‘এ দিন প্রতিনিধিরা বাকি ৩টি দাবি নিয়েও কথা বলেন। ওঁরা টাইমলাইন চেয়েছেন। আমরা স্পষ্ট বলেছি, এই সমস্ত বিষয়ে টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। তা পরিস্থিতি বুঝে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়।’ অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব। তাঁদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন তিনি।
কিন্তু কোন তিনটি দাবিকে কেন্দ্র করে জটিলতা জিইয়ে থাকল? বৈঠক শেষে সিনিয়র চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন ‘স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং পশ্চিমবঙ্গ হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগগুলির প্রসঙ্গে দ্রুত তদন্ত’, জুনিয়র চিকিৎসকদের ৩টি দাবি নিয়ে জটিলতা কাটোনি। এই বৈঠকের পর ‘হতাশা’-র সুর শোনা গিয়েছে সিনিয়র চিকিৎসকদের কণ্ঠে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই বৈঠকের পর কী হতে চলেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের পরবর্তী পদক্ষেপ?