Medinipur News,ঋণের টাকা ফেরতের নাম করে ডেকে মদের ঠেকে খুন – purba medinipur a man allegedly finish off


ই সময়, কাঁথি: ঋণের টাকা ফেরতের নাম করে ডেকে নিয়ে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে পাওনাদারকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। শুক্রবার দেউলপোতা গ্রামে খুনের খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা মূল অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। দমকল ও কাঁথি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত গোবিন্দ পাত্র (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে সুদের কারবার করতেন।হামলাকারীরা তাঁর পূর্ব পরিচিত বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কাঁথি আদালত। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘টাকা-পয়সা সংক্রান্ত ঝামেলার জেরে এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। এলাকায় পুলিশ টহল চলছে। হামলা ও খুনে আরও কেউ জড়িত কিনা জানতে ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

নিহত গোবিন্দের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন আগে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল স্থানীয় যুবক বছর ৩৫-এর উত্তম পাত্র। কিন্তু সময় মতো টাকা পরিশোধ না করায় ধারের টাকা ফেরতের জন্য কিছুদিন ধরে উত্তমকে চাপ দিচ্ছিলেন গোবিন্দ। বৃহস্পতিবার সেই ধারের টাকা শোধ করার নাম করে ও মদ খাওয়াবে বলে গোবিন্দকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় উত্তম ও তার সঙ্গীরা। রাত সাড়ে ৯টা নগাদ স্থানীয় দেউলপোতা মাছের আড়ত লাগোয়া রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় গোবিন্দকে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন স্থানীয়রা।

রাতের মদের আসরে গোবিন্দের সঙ্গে আরও ৫ জন উপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে। আসরে মদ খেতে খেতে টাকা শোধের প্রসঙ্গ উঠতেই উত্তম ও গোবিন্দর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সেই সময়ে উত্তম পাশে পড়ে থাকা ইট তুলে নিয়ে গোবিন্দর মাথায় আঘাত করে। বাকিরাও মারধর করে রাস্তায় ফেলে দেয়। পুলিশ এখনও পর্যন্ত উত্তম পাত্র ও বাটুল মাইতিকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহতের স্ত্রী শিবানী বলেন, ‘ও বাড়িতে ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ উত্তম ফোন করে ডাকে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ একজন ফোন করে আমাদের ঘটনার কথা জানায়।’

ছেলে ইন্দ্রজিৎ পাত্রের অভিযোগ, ‘পরিকল্পিত ভাবে টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে অভিযুক্ত।’ তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে কাঁথি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যে বাবার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল যাওয়ার পথে উত্তম ও তাক সঙ্গীরা মেরেছে তা বলেছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *