বিকেলে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে সনৎ দে-র নাম ঘোষণার পরেই তিনি পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপিকে। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, গেরুয়া শিবির অযথাই কুৎসা করছে। এ দিন নাম ঘোষণার পরেই সনৎ দলীয় কর্মীদের নিয়ে দেওয়াল লিখতে নেমে পড়েন। তাঁর স্ত্রী নৈহাটি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কাজল দে-কেও দেখা যায় দেওয়াল লিখতে। ৬ নম্বর বিজয়নগরে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে দলের কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। বাজি ফাটিয়ে, স্লোগান দিয়ে তাঁরা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। বিকেলে বড়মার মন্দিরে পুজো দেন সনৎ।
তিনি বলেন, ‘দল আমায় প্রার্থী করায় কৃতজ্ঞ। আমার অভিভাবক পার্থ ভৌমিক নৈহাটির মানুষের জন্য যে উন্নয়ন এতদিন করে এসেছেন সেই ধারা বজায় রাখাই আমার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য। মানুষ শুধু ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।’ বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘যিনি নারীসুরক্ষার কথা বলছেন তাঁর জন্য এলাকার অনেক মহিলাই ঠিক মতো চলাফেরা করতে পারেন না।’
তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে সনৎ-কে জিতিয়ে আনা আমাদের লক্ষ্য। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের কর্মীরা নেমে পড়েছেন ভোটের প্রচারে।’ উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে নৈহাটি কেন্দ্র থেকে টানা তিনবার বিধায়ক হন পার্থ ভৌমিক। ২০২৪ সালে ব্যারাকপুর লোকসভায় প্রার্থী হয়ে জেতার পরেই খালি হয় নৈহাটি বিধানসভার আসন। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের আরও পাঁচটি কেন্দ্রের সঙ্গে এই আসনেও হবে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ।