সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নে ৬ দফা প্রস্তাব – the junior doctors sent an email again to chief secretary manoj pant with a 6 point


এই সময়: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক করতে আজ, শনিবার আরজি করে আয়োজিত হতে চলেছে গণ কনভেনশন। তারই প্রাক্কালে, কী ভাবে রেফারেল ব্যবস্থার উন্নতি করে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও ভালো করা যায়, তা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ৬ দফা পরামর্শ দিয়ে মেল করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে।গত ২২ অক্টোবর নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের যে কার্যবিবরণী তৈরি হয়েছিল, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে কী করে বাস্তবায়িত করা যায়, সেই লক্ষ্যেই এই মেল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার জন্য তাই স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্সের একটি বৈঠক ডাকারও দাবি তোলা হয়েছে শুক্রবার ভোররাতে লেখা সেই মেলে।

কী কী বিষয়ে আলোচনা চেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা? সূত্রের খবর, প্রথমেই জুনিয়র ডাক্তাররা উল্লেখ করেছেন সেন্ট্রালাইজ়ড বেড মনিটরিং সিস্টেমের আশু বাস্তবায়ন। আপাতত এই প্রকল্প পরীক্ষামূলক ভাবে শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় চলছে। সেই প্রকল্পকে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বেড ভ্যাকেন্সির স্টেটাসকে রিয়েল-টাইম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে।

দালালরাজের রমরমা বন্ধ করতে প্রতি ঘণ্টায় এই বেড ভ্যাকেন্সি স্টেটাস আপডেট করার কথাও বলেছেন তাঁরা। উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি পরিষেবায় যে হারে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে সেই আনুপাতিক হারে বেড বাড়েনি। তাই বেড বৃদ্ধির পক্ষেও সওয়াল করা হয়েছে মেলে। জোর দেওয়া হয়েছে, ইন্ডোর ওয়ার্ডে মেঝে বা ট্রলির বদলে যাতে প্রত্যেক রোগীর জন্য বেডের সংস্থান করা যায়।

মুখ্যসচিবকে লেখা মেলে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে, কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থার খামতিগুলির কথাও। বলা হয়েছে, যে বড় হাসপাতালে রোগীকে রেফার করা হবে, তার বেড খালি আছে কি না, তা রেফার করার সময়েই নিশ্চিত করে দেখে আগাম ‘বুক’ করে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। অন্যথায় রোগী-পরিজনের অযথা হয়রানি অনিবার্য। এবং মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, রোগী বড় হাসপাতালে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে যদি চিকিৎসক, নার্স এবং ওষুধপত্রের জোগান অবিলম্বে না করা যায়, তা হলে সব প্রয়াসই বৃথা। তাই পরিকাঠামো সংশোধনের উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে, বেড খালি হওয়া ও ভরা এবং সেখানে ভর্তি হওয়া বা সেখান থেকে ছুটি পাওয়া রোগীদের দ্রুত তথ্য আপলোডের বিষয়টিতে।

জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই রেফারেলের ক্ল্যারিকাল দায়ভার যদি চিকিৎসকের ঘাড়ে চাপানো হয়, তা হলে বিঘ্নিত হবে চিকিৎসাটা-ই। তাই এই কাজের জন্য ডেডিকেটেড ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে মেলে। বলা হয়েছে, অনেক সময়ে কোন পরিষেবা মিলবে আর কোনটা মিলবে না, তা নিয়ে রোগী-পরিজনের মনে সংশয় থাকে যা অযথা হয়রানির জন্ম দেয়।

তাই কী কী পরিষেবা মিলছে, তার ডিসপ্লে বোর্ড লাগানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে যাতে রোগী-পরিজনের ক্ষোভ প্রশমন করা যায় সহজে। মেলে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সব প্রস্তাবগুলিকে যদি সরকার ঐচ্ছিক না মনে করে বাধ্যতামূলক হিসেবে ভাবে, তা হলে আখেরে তা সরকারেরই পক্ষে যাবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *