সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: সোশ্যাল মিডিয়ার নেশা আরও একবার প্রাণসংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াল। কাটোয়া শহরের দশম শ্রেণির ২ ছাত্র অজয় নদীতে নিখোঁজ হয়ে গেল রিলস বানাতে গিয়ে। শনিবার বিকেলে কেতুগ্রাম থানার কাঁকুরহাটি গ্রামের অজয় সেতুর নিচে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, নিখোঁজ ছাত্ররা হল,কাটোয়া স্টেশন বাজার এলাকার বাসিন্দা ও এক বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র আয়ান আহমেদ (১৬) এবং কাটোয়া পাড়ার বাসিন্দা ও মুর্শিদাবাদের লালবাগ আল আমিন মিশনের ছাত্র মহম্মদ তহমিন নূর (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকাল প্রায় তিনটে নাগাদ নবগ্রাম-কাঁকুরহাটি রেল স্টেশনের পাশের অজয় নদীর সেতুর নিচে মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও তুলছিল দুই কিশোর। তাদের ব্যাগ ও মোবাইল নদী পাড়ে একটি নৌকার উপর রাখা ছিল। দীর্ঘক্ষণ তাদের না দেখে এবং মোবাইলের রিং বেজে চলতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। ফোনটি রিসিভ করে তারা কোনো সাড়া না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেতুগ্রাম থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে আসে এবং কাটোয়া মহকুমা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সহায়তায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়।
আরও পড়ুন-বাড়ি ফরিদপুরে, বর্ধমানে জেঠুকে বাবা সাজিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশি যুবক, পাসপোর্ট নবীকরণ করতে গিয়েই…
আরও পড়ুন-ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের রোজ খরচ কত, একটা ইরানি মিসাইল ঠেকাতে কত টাকা লাগে…
স্থানীয়রাই নৌকা নিয়ে তল্লাশি শুরু করে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু মণ্ডল জানান, ছেলেগুলো ভিডিও তুলছিল। আমরা ভেবেছিলাম একটু পরেই চলে যাবে। পরে দেখলাম মোবাইল পড়ে আছে, কিন্তু ছেলেরা নেই। ফোনে কল এলে রিসিভ করে দেখি কেউ নেই আশেপাশে। তখনই বুঝি কিছু একটা হয়েছে।
ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে কাটোয়া শহরে। দুই পরিবারে চলছে কান্নার রোল। পুলিস ও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ছাত্র দু’জনের খোঁজ মেলেনি। ডুবুরির সাহায্যে তল্লাশি জারি রয়েছে। এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলছে কিশোর-কিশোরীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের দায়িত্ববোধ এবং সচেতনতার প্রসঙ্গে। অভিভাবকদের পাশাপাশি স্কুলগুলোকেও এই বিষয়ে আরও বেশি করে নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)