Hanuman or Neil Armstrong: আর্মস্ট্রং, ইউরি গ্যাগারিনকে মহাকাশে ১০ গোল পবনপুত্রের! ‌এ গ্রহ থেকে হনুমানই প্রথম…


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিমাচল প্রদেশের উনায় স্কুল সফরে গিয়ে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর বলেন, প্রথম মহাকাশযাত্রী ছিলেন ‘হনুমানজি’। ঠাকুর শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তরে বলেন, “নীল আর্মস্ট্রং।” এর পর সাংসদ মন্তব্য করেন, “আমি মনে করি তিনি ছিলেন হনুমানজি। আমাদের প্রাচীন জ্ঞান ও সংস্কৃতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।” তবে ইতিহাস অনুযায়ী, ১৯৬১ সালে প্রথম মহাকাশে যান সোভিয়েত নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন। ১৯৬৯ সালে চাঁদে প্রথম পদার্পণ করেন নীল আর্মস্ট্রং।

আরও পড়ুন, Puri Jagannath Temple Ratna Bhandar Mystery: পুরীর মন্দিরের রহস্যে মোড়া রত্নভান্ডার! কী আছে সেই অন্ধকার কক্ষে? আগলে রাখে সর্পকুল?

বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া

এই মন্তব্যের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। উল্লেখযোগ্য যে, বিশ্বের প্রথম মহাকাশযাত্রী ছিলেন সোভিয়েত নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন, যিনি ১৯৬১ সালে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন। আর নীল আর্মস্ট্রং ১৯৬৯ সালে প্রথম চাঁদে পদচিহ্ন রাখেন। অনুরাগ ঠাকুরের পোস্টে কমিউনিটি নোটও জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে—প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশে গিয়েছিলেন গ্যাগারিন, হনুমানজি বা আর্মস্ট্রং নন।

পুরাণ বনাম ইতিহাসের প্রসঙ্গ

বিতর্ক বাড়তে থাকায় বিশেষজ্ঞ মহল বলছে—পুরাণকে পুরাণ হিসেবেই শেখানো উচিত, ইতিহাস হিসেবে নয়। রামায়ণ-মহাভারতের মতো মহাকাব্য মানুষের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হলেও প্রমাণ ছাড়া এগুলিকে ইতিহাস হিসেবে মানা যায় না। ইতিহাসবিদরা মনে করিয়ে দেন—অনেক সময় প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ কোনো সাহিত্যিক উল্লেখকে সমর্থন করে, যেমন—গুজরাট উপকূলে ডুবে থাকা প্রাচীন স্থাপত্যকে অনেকেই দ্বারকা শহরের সঙ্গে মেলান, বা ট্রয়ের আবিষ্কার, যা আগে কল্পকাহিনি বলে মনে করা হতো। তবে, এমন উদাহরণ সীমিত এবং এখনও বিতর্কিত।

সামাজিক মাধ্যমের মজার প্রতিক্রিয়া

ঠাকুরের বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গও শুরু হয়েছে। কেউ লিখেছেন—“প্রথম মহাকাশযাত্রী তো হিরণ্যাক্ষ, যিনি পৃথিবীকে লুকিয়েছিলেন।” তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, এ ধরনের রসিকতা হোক বা দাবি—প্রমাণ ছাড়া ইতিহাস হয় না। এই বক্তব্য ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা ছড়িয়েছে। তাঁর পোস্টে কমিউনিটি নোট যুক্ত করে তথ্য সংশোধন করা হয়েছে। 

শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন

শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা একদিকে শিশুদের বিজ্ঞান-ভিত্তিক জ্ঞানকে বিভ্রান্ত করছে, অন্যদিকে সাংসদদের দায়িত্বজ্ঞানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সংবিধানের ৫১(এ) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো বৈজ্ঞানিক মনোভাব গড়ে তোলা। তাদের মতে, যতদিন না শক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলে, ইউরি গ্যাগারিন-ই ইতিহাসের প্রথম মহাকাশযাত্রী থাকবেন। তাই শিশুদের প্রমাণভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া জরুরি এবং নেতাদের উচিত শিক্ষার মানোন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া।

আরও পড়ুন, Why Is Lord Vishnu Lying On The Sheshnag Explained: শ্রী বিষ্ণু কেন শেষনাগের উপর শায়িত? যে ৫ কারণ আজও অনেকের অজানা, কী বিশেষ তাৎপর্য এর?

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *