কমলাক্ষ ভট্টাচার্য ও রণয় তিওয়ারি: গুলশন কলোনির ঘটনায় এবার অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। গুলি, বোমা ছোড়া, দোকানে ভাঙচুরের ঘটনার মাশুল পোহাতে হচ্ছে কাউন্সিলরকে। দুস্কৃতী মিনি ফিরোজের দাবি, কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অঙ্গুলি হেলনেই এই ঘটনা ঘটেছে। এলাকার ত্রাস মিনি ফিরোজ ও তার দলবলের বিরুদ্ধে দুস্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও করেছে পুলিস। মিনি ফিরোজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে নাম করেছে কাউন্সিলরের।
যদিও এর আগে গুলশন কলোনির পুরপিতা সুশান্ত ঘোষের উপর প্রানঘাতী হামলাও ঘটেছে। সুশান্ত ঘোষের বক্তব্য, ‘এই ঘটনা ঠেকানো যেত। পুলিসকে গত ২ সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত বলা হয়েছে। আমি নিজে একাধিকবার ওসিকে ফোন করেছি। বার বার করে খবর হচ্ছিল তোপসিয়া থেকে দুস্কৃতিরা ওই অঞ্চলে ভিড় জমাচ্ছে। যারা একসময় এই অঞ্চল শাসন করত বিগত চার বছর ধরে তারা ওই এলাকায় ঢুকতে পারছিল না।’
যদিও দুস্কৃতি দলের পান্ডা মিনি ফিরোজের বলেন, ‘আমি ওখানে নেই। বিহারে কাজ ছিল সেখানে আছি। বন্ধুবান্ধব কী করছে সে বিষয়ে তো আমার কিছু করার নেই। যদি সেই ঘটনার সময় আমি থাকতাম তাহলে কথা ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছি সেটা দেখলেই সত্যিটা বুঝবেন। এলাকায় যখন সন্ত্রাস হয় তখন যে আমি কলকাতাতেই ছিলাম না সেই প্রমাণও আমার কাছে আছে। যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা আমাদের বিল্ডিংয়ে থাকে। তাদের আমি চিনি। আমি থানাকে, মিডিয়াকে জানিয়েছি বলে কাউন্সিলর আমার বিরুদ্ধে এসব করছে। ২০২২ সালের পরে পুকুর ভরাট করে বেআইনি বিল্ডিং করাচ্ছে নিজের লোককে দিয়ে। সে কারণেই আমার পিছনে পরে গিয়েছে। আমাকে জমি মাফিয়া বানানো হচ্ছে।’
কাউন্সিলরের আরও দাবি, ‘গুলশন কলোনির মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। সেকারণেই তাদের এন্ট্রি হচ্ছিল না। যে গুলশন ক্রিমিনালদের মুক্তাঞ্চল ছিল, বিগত চারবছর ধরে কলকাতার অন্যান্য স্বাভাবিক এলাকার মতো হচ্ছিল সেটা কিছু মানুষের সহ্য হচ্ছিল না। এমনকী ঘটনার পরও যখন পুলিসকে ফোন করি আমাকে শুনতে হল, ”অপরপক্ষ কী বলছে শুনুন!”, অপরপক্ষ বলতে কোন বোঝাতে চাইল বুঝতে পারলাম না। কিন্তু যারা ঘটনাটি প্রকাশ্যে ঘটিয়েছে, তারা পুলিসকে দেখার পরও বোমা মারছে। মানে পুলিসকেও অগ্রাহ্য করছে এত তাদের ঔদ্ধত্য।’
মিনি ফিরোজের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাউন্সিলরের দাবি, যার বিরুদ্ধে ১৫০-২০০ মামলা, তাকে নিয়ে বললে থানা বলছে আমরা কী করব! আমাদের কোনও আইন নেই গ্রেফতার করার। এটা পুলিসের ব্যর্থতা। যার কথা বলা হচ্ছে চার বছর ধরে বেরোয়নি। হঠাত এই সাহস। ১২ থেকে ১৫ বছরের ছেলেদের নেশা করিয়ে ক্রিমিনাল বানানোর চেষ্টা চলছে। পুলিস পোস্টিংয়ের পরও চারজনের বাড়িতে বোমা পড়ছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)