বিধান সরকার: সল্টলেক স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসিকে (Lionet Messi) কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলা এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার নেতাজি স্পোর্টস এরিনায় জাতীয় হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় উপস্থিত হয়ে তিনি এই বিষয়ে নিজের আক্ষেপ ও দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করেন।
সম্প্রতি কলকাতায় মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যারা মেসিকে দেখতে এসেছিলেন, তারা অনেক আশা আর স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন। তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, যা আমাদের সবার জন্যই খারাপ লাগার বিষয়।”
আরও পড়ুন- Jeet Injured: সেটে গুরুতর আহত জিত্! পিছিয়ে গেল শ্যুটিং…এখন কেমন আছেন সুপারস্টার?
নিজের অভিজ্ঞতার কথা টেনে তিনি বলেন, “আমি কাতার বিশ্বকাপে মেসিকে সামনে থেকে খেলতে দেখেছি। তাই আমার নতুন করে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার কোনো আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বাকিদের আশাভঙ্গ হওয়ায় খারাপ লাগছে।” এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “এটা সরকারি অনুষ্ঠান না হওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী বড় মনের পরিচয় দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। হথরাস বা কুম্ভমেলার মতো ঘটনার পর কজন এভাবে ক্ষমা চান?” তিনি স্বীকার করে নেন যে, পরিকল্পনা সঠিক থাকলে হায়দ্রাবাদ বা মুম্বাইয়ের মতো কলকাতাতেও আরও সুন্দর আয়োজন করা যেত।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে রচনা বলেন, “শুভশ্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সেখানে বিশৃঙ্খলা হলে তাঁর কী করার আছে? যেহেতু একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে, তাই সবার দিকেই এখন আঙুল উঠছে।” তাঁর মতে, সঠিক পরিকল্পনা থাকলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বা দেবের মতো ইন্ডাস্ট্রির মুখরা সেখানে থাকতেন এবং মেসি হেঁটে যেতেন— এটাই হওয়া উচিত ছিল।
দলের অন্দরের সমীকরণ নিয়ে সাংসদ স্পষ্ট জানান যে, তৃণমূল কংগ্রেস একটি ঐক্যবদ্ধ পরিবার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দলের নির্দেশই শেষ কথা। সংসদীয় এলাকায় কোনো সমস্যা হলে আমরা সরাসরি দিদি বা অভিষেকের দপ্তরে মেইল পাঠাবো। ভুলভ্রান্তি মানুষেরই হয়, কীর্তি আজাদ একটা ভুল করেছিলেন কিন্তু তা থেকে আমরা সবাই সজাগ হয়েছি।”
ধনেখালিতে আসন্ন ২-৫ তারিখের ‘বিশ্ব ইজতেমা’ উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানান। ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদনের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর ব্যক্তিগত আলোচনা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
২০১০ সালে জাঙ্গীপাড়া থানার তৎকালীন ওসি তাপসব্রতী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন সাংসদ। তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই বিচার হবে। অপরাধী শাস্তি পাবে, এটাই কাম্য।”
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
