জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যে SIR আবহে BLO-কে বিক্ষোভ অব্য়াহত। ব্য়ারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিসের সঙ্গে চলল ধস্তাধস্তি। CEO দফতরের সামনে ধুন্ধুমার কাণ্ড।
কাজের যেন শেষ নেই! কমিশনের নিত্যনতুন নির্দেশিকায় নাজেহাল অবস্থা BLO-দের। প্রথমে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি, ফর্ম জমা নেওয়া। তারপর আবার কিউআর কোড স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড। সেই পর্ব এখন মিটেছে। বাংলায় SIR খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। কিন্তু খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ৫৮ লক্ষ ভোটারের নাম। শুধু তাই নয়, ভোটারের নাম ‘মৃত’ তালিকায় ওঠা বা তথ্যে অসঙ্গতি থাকার মতো গুরুতর অভিযোগও সামনে এসেছে।
এবার শুরু হচ্ছে SIR-র হিয়ারিং। কবে? কমিশন সূত্রে খবর, ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে হিয়ারিং। কমিশনের নির্দেশ, হিয়ারিংয়ে যাঁদের ডাকা হবে, তাদে নথি যাচাইয়ে কাজও করতে হবে BLO-দেরই। আর তাতেই CEO দফতরে সামনে ফের নতুন করে বিক্ষোভে শামিল হলেন BLO-রা। তাঁদের দাবি, রোজই নতুন অপশন যোগ করা হচ্ছে BLO অ্যাপে। কাজের পরিধি বাড়ছে।
কমিশন সূত্রে খবর, ২০০২ ভোটার লিস্টে নাম নেই এরকম অনেকের নাম খসড়া তালিকায় আছে। অতিরিক্ত যাচাইয়ের জন্য তাদের অনেককেই কমিশন প্রয়োজনে ডাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রেসক্রাইব ১৩ টি নথির মধ্যে একটি দেখাতে হবে। আবার ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা-মায়ের কারও নামই যদি না থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হিয়ারিংয়ের ডাকা হতে পারে। আধার ছাড়া বাকি ১২ টি নথির মধ্যে একটি দেখাতে হবে। তাহলেই নাম থাকবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায়। আবার ভুল তথ্য় দিলে বা বাবা-মায়ের বয়সের ব্যবধান ১৫ বছরের বেশি হলে কিংবা ভোটারের সঙ্গে অভিভাবকের বয়সের অযৌক্তিক গরমিলের (Logical discrepancy) মতো আর বেশ কয়েকটি হিয়ারিংয়ের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
এদিকে বাইরে তখন BLO-দের বিক্ষোভ চলছে। CEO দফতরে যায় তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল। CEO-র সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। CEO-র সঙ্গে দেখা করতেন চান আন্দোলনরত BLO-রাও। তাঁদের হুঁশিয়ারি, CEO যদি দেখা না করেন, তাহলে CEO দফতরের বাইরে ৪৮ ঘণ্টা ঘরে লাগাতার বিক্ষোভ চলবে।
এর আগে, গতকাল সোমবারও একাধিক দাবিতে CEO দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন BLO-রা। দফতরের বাইরে ব্য়ারিকেডজ করে দিয়েছিল পুলিস। কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভেঙে মূল পৌঁছনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা।
চলতি বছরের নভেম্বরে গোড়া থেকে বাংলায় শুরু হয় SIR। কাজের চাপের অভিযোগ তখন থেকে আন্দোলনে BLO-রা। তৈরি হয়েছে BLO অধিকার রক্ষা কমিটি। রাজ্যর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ঘরের সামনে ধরনায় বসেছিলেন BLO অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্যরা। এরপর দফতরটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকারের সায় না থাকলেও ঠিকানা বদলের তোড়জোড় শুরু করে গিয়েছে। CEO দফতরের প্রথম ও তৃতীয় তলায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনকী, দফতরের আধিকারিকরা গাড়ি নিয়ে যেখানেই যাবেন, সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
