বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের কালিসেন গ্রামের বাসিন্দা অনীষ বাড়ুই ও অনিক বাড়ুই। দুই যমজ ভাই রাজ্যের মেধা তালিকায় চতুর্থ ও ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। অনীষ ও অনিকের বাবা প্রলয় বাড়ুই হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক। মা গৃহবধূ। দাদু অবসরপ্রাপ্ত বাংলা বিষয়ের শিক্ষক। গ্রামের বেসরকারি একটি স্কুলে অনীষ ও অনিকের পড়াশোনা শুরু হয়। পরে বাঁকুড়ার একটি স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত পড়ার পর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশুনা করার সুযোগ পায় দুই ভাই। সেখান থেকেই মাধ্যমিকে তাক লাগিয়ে দেয় দুই যমজ ভাই।
রাজ্যের মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থানে অনীষ এবং ষষ্ঠ স্থানে অনীক জায়গা করে। দুই ভাইয়ের নাম মেধাতালিকায় আসতেই উচ্ছ্বসিত স্কুল। উচ্ছ্বসিত কালিসেন গ্রাম। দুই নাতির সাফল্য আনন্দে আত্মহারা দাদু ও ঠাকুমাও। দাদু ও ঠাকুমার আদরে ভালোবাসায় বড় হয়েছে অনীষ ও অনিক।
স্কুলের ছুটির সময়ে দাদু ঠাকুমার কাছে ছুটে আসত দুই ভাই। কালিসেনের বাড়িতে ছুটি কাটাত তারা। এদিন ফল ঘোষণার সময় টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিল তার দাদু ও ঠাকুমা। দুজনের নাম মেধা তালিকায় ঘোষণা হতেই খুশির আনন্দে মেতে ওঠে তারা। ফল ঘোষণার পরে স্কুলে দেখা করে রাতেই বাবা ও মায়ের সঙ্গে সোজা কালিসেনের গ্রামের বাড়িতে আসে দুই ভাই।
দাদু ঠাকুমার সঙ্গে খুশির একটা দিন কাটিয়ে আবার তারা ফিরে যাবে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। দুজনের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। দাদুও চান তার দুই নাতি চিকিৎসক হোক। এদিন সকাল থেকেই দুই ভাইকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন এলাকার মানুষজন। দুই কৃতি সন্তানকে নিয়ে এখন উৎসবের আমেজ কালিসেনের বাড়ুই পরিবারে।
যমজ দুই সন্তানের সাফল্যে খুশি কালিসেনবাসীও। অনীষ ও অনিকের দাদু নিমাই চন্দ্র বাড়ুই বলেন, “আজ আমার জীবনের সব থেকে খুশির দিন। খুবই ভালো লাগছে দুজনের জন্য। আশা রাখি ওরা আরও অনেক বড় হবে, আর ভবিষ্যতে ভালো মানুষ ও চিকিৎসক হবে”।