Robinson Street Partha De : দেহ আগলানোর ঘটনা ঘটলেই রবিনসন স্ট্রিট প্রসঙ্গ! কী ঘটেছিল অভিশপ্ত বাড়িতে? – belgharia decomposed body and skeleton recovery case is recalling robinson street partha de incident


বেলঘরিয়ার পূব পাড়ার একটি বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে নিমতা থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম বীরেন্দ্র কুমার দে। সংলগ্ন আরও একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কঙ্কাল। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান কঙ্কালটি বীরেন্দ্র কুমার দে-এর ভাই ধীরেন্দ্র কুমার দে-এর। মনে করা হচ্ছে হয়ত ৫-৬ মাস আগেই মৃত্যু হয়েছে ধীরেন্দ্রবাবুর। সেই দেহই এতদিন আগলে রেখেছিলেন বীরেন্দ্র কুমার। এবার তাঁরও মৃত্যু হয়।

Kestopur Murder Case : কেষ্টপুরে আবাসন থেকে মা-মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার, বাড়ছে রহস্য
শহর কলকাতা তথা গোটা রাজ্যের বুকেই এই ঘরনের ঘটনা বারেবারেই তৈরি করেছে চাঞ্চল্য। তবে প্রথমবার মৃতদেহ দীর্ঘ সময় ধরে আগলে রাখার যে ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা শহরজুড়ে তা ঘটেছিল রবিনসন স্ট্রিটে। ২০১৫ সালের ১০ জুন, রবিনসন স্ট্রিটের একটা বাড়ির শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় সছর ৭৭-এর এক বৃদ্ধের অগ্নিদগ্ধ দেহ। তবে পুলিশ সেই বাড়িতে যেতেই ঘটবার মোড়া ঘুরে যায়। জানা যায়, সেই বাড়ির ছেলে পার্থ দে তাঁর দিদি দেবযানী দে-এর কঙ্কালের সঙ্গে মাসের পর মাস বাস করছেন। এমনকী দিদির কঙ্কালকে খেতেও দিতেন পার্থবাবু।

Panchayat Election : ‘২০০০ টাকা দেওয়ার কথা, ২০০ দিয়েছে’! বোমা বাঁধতে গিয়ে ধরা পড়ে স্বীকারোক্তি দুষ্কৃতীদের
দেবযানীকে প্রতিবেশীরা কোনওদিন দেখেননি
প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় ১৫ বছর এলাকায় থাকলেও দে পরিবারের কেউই সেভাবে পাড়ায় মিশতেন না। পার্থবাবু ও তাঁর বাবাকে মাঝেমধ্যে পাড়ায় যাতায়াতের পথে দেখা গেলেও দেবযানীকে কেউই কখনও দেখেননি। প্রাথমিত তদন্তে জানা যায় মানসিক রোগে আক্রান্ত পার্থবাবু। যার জেরে পাভলভে রেখে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। সেখানেও প্রথমদিকে নিজের জগতেই বুঁদ হয়ে থাকতেন তিনি। পরে অবশ্য সুস্থ হয়ে দীর্ঘ ৮ মাস পর একবার গিয়েছিলেন নিজের বাড়িতে। সেখানে পা রেখেই আবেগপ্রবণও পয়ে পড়েন পার্থ। পাভলভ থেকে বেরিয়ে মিশনারিজ অব চ্যারিটি-র একটি হোমেও ছিলেন পার্থ। এরপর খিদিরপুর এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন তিনি।

IIT Kharagpur : ফয়জানকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক ছাত্রের রহস্যমৃত্যু আইআইটি খড়গপুরে
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু পার্থর
কিন্তু ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খিদিরপুরের ওই আবাসনেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় পার্থ দে-এর দেহ। পাথ থেকে উদ্ধার হয় পেট্রোলের বোতল ও দেশলাই। সবচেয়ে বড় কথা নগর দায়রা আদালতে কঙ্কালকাণ্ডের চার্জ গঠনের ঠিক দুদিন আগেই মৃত্যু হয় পার্থর দে-র। যার ফলে শুনানি শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায় বহু আলোচিত সেই মামলা। তবে পার্থ দে-এর ঘটনাই শেষ নয়, তারপর থেকেও বারেবারেই শহর কলকাতার বুকে উঠে এসেছে এমন ঘটনা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *