রূপশ্রী প্রকল্পে এমনিতেই আবেদনের পরিমাণ বাড়ছে জেলায় জেলায়। জানুয়ারি মাসে এই আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়বে। আবেদন করার পর তদন্তের রিপোর্ট নির্দিষ্ট পোর্টালে ‘নোট’ দেওয়ার পরেই আবেদনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সপ্তাহে গড়ে হাজার দেড় হাজার করে আবেদন জমা পড়ার মতো নজির রয়েছে বিয়ের মরশুমে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, মানুষ এখন এই সব প্রকল্পের ব্যাপারে অনেকটাই সচেতন। সেই জন্য আবেদনও বেশি। আর অনেকেই নানান ফন্দি করে টাকা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। রাজ্যের যে সব ব্লকগুলিতে বাল্যবিবাহ বেশি হয়, সেখানে এই ধরনের আবেদনের সংখ্যা বেশি।
উল্লেখ্য, ১৮ বছর বয়সের পরে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য রূপশ্রী প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পায় পরিবার। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করেন। বিয়ের আগে নিমন্ত্রণ পত্র, পাত্র ও পাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্র ব্লক বা পুরসভা দফতরে জমা দিতে হয়। বার্ষিক দেড় লাখ টাকা আয়, এমন পরিবারগুলিই রূপশ্রী প্রকল্পের জন্যে আবেদন করতে পারেন। আবেদনের পর ব্লকের এক্সটেনশন অফিসারেরা তা তদন্ত করে দেখেন। সেই মতো নির্দিষ্ট পোর্টালে তিনি তদন্ত রিপোর্ট দেন। এরপর বিডিও বা মহকুমা শাসকের অনুমোদনের পর অর্থ দফতরের ছাড়ের পরেই উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢোকে। আর্থিক সংগতি নেই, এমন বহু পরিবার এই টাকা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন।
ব্লকে ব্লকে এক্সটেনশন অফিসারেরা এই কাজ করেন। রূপশ্রীর তদন্ত করতে গিয়ে তাঁদের একেবারে নাস্তানাবুদ দশা। কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতির জেরে দেরি হচ্ছে টাকা পেতে। ফলে বিয়ের পর টাকা মিলছে এমন ঘটনাও ঘটছে। তবে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে উপকৃত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন।