অভিষেক বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু, অমিত শাহকে এই তিনটি কাজ করতে হবে।’ এরপর এক এক করে তিনটি পয়েন্ট জানান তৃণমূল সাংসদ। অভিষেকের কথায়, বাংলার ১ লাখ ৬৪ টাকা যে বকেয়া পাওনা আছে কেন্দ্রের থেকে সেটা ছেড়ে দিন। গরিব মানুষের ছাদের টাকা আটকে রেখেছেন সেটা ছেড়ে দিন। এরপর আরও একটি বড় শর্ত দেন অভিষেক। দুদিন আগেই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে গিয়ে প্রচারে অভিষেক জানিয়েছিলেন, এই কেন্দ্রের জন্য নমিনেশ দেওয়ার কাজ এখনও বাকি আছে, যে কোনও সর্ব ভারতীয় বিজেপি নেতা এসে মনোনয়ন দিতে পারেন।
সেই ইস্যুতেই অভিষেক এদিন জানান, ডায়মন্ড হারবারের আপনি নিজে এসে মনোনয়ন জমা দিন এবং আমাকে হারিয়ে দেখান। অভিষেক এদিন বলেন, ‘আপনাকে এই তিনটে রাস্তা দিলাম, করে দেখান। আপনি বলছেন, তৃণমূল অভিষেকে বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চায়। আপনার মনের সুপ্ত বাসনা, আপনি নিজেই আপনার ছেলেকে বিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট বানিয়েছেন, সবাই আপনার মতো নয়।’
অমিত শাহকে কটাক্ষ করে অভিষেক আরও বলেন, ‘আপনি জীবনে আন্দোলন করেননি, আপনার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আজকে কাউকে ইডি, সিবিআই ডাকলে আপনি চোর বলেন, আপনি নিজে একজন জেলখাটা আসামি।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মথুরাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী বাপি হালদারের সমর্থনে নির্বাচনী সভা করেন অভিষেক। সেখানেই তিনি উল্লেখ করেন, এবারের নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি কেন্দ্রেই আগের থেকে জয়ের ব্যবধান বাড়াবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। কে কাকে ছাপিয়ে যাবে, সেই নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে বলেও জ্ঞান তিনি।