এই ঘটনায় BJP-র নিশানা তৃণমূল। ইতিমধ্যেই মন্তেশ্বর থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অভিজিৎকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বুধবার রাতে গ্রামের একটি অনুষ্ঠানবাড়ি হয়। সেখানেই ছিলেন অভিজিৎ। এরপরেই নিখোঁজ হয়ে যান। এদিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রেক্ষিতেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি মৃতের পরিবারের সদস্যদের। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই এই নিয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব।
এদিকে BJP-র যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘ওরা কথায় কথায় তৃণমূলের নাম নেয়। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ BJP কর্মীদের থানা ঘেরাও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘করতেই পারে। এর আগেও বহুবার করেছে। কিন্তু, পরে দেখা গিয়েছে যে অভিযোগ তুলেছিল তা সত্য নয়। এক্ষেত্রে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে, তা তদন্ত করে দেখুক পুলিশ।’
স্থানীয় তৃণমূল নেতারা পারিবারিক বিবাদের প্রসঙ্গও টানছেন। পুলিশ যাতে সেই দিকটি তদন্ত করে দেখেন, এই আর্জি তোলা হয়েছে তাঁদের পক্ষ থেকে। যদিও পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনীতিতে তীব্র আলোচনা তৈরি হয়েছে। আক্রমণ, পালটা আক্রমণে পারদ চড়ছে রাজনীতির। এদিকে এই সবের মধ্যে চোখের জলে পরিবারের দাবি, তদন্তে সত্যটা উঠে আসুক।