কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতের শিফটে খনিতে নেমেছিলেন রঞ্জিত। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ খনি থেকে উপরে ওঠার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, তার আগে সকাল ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, খনিতে নামতে হয় ডুলিতে। একদম নীচে থাকে স্প্রিং, ঝাঁকুনি এড়াতে যা কিনা শক অ্যাবজ়র্ভের কাজ করে। কোনও ভাবে সেই স্প্রিং ভেঙে ছিটকে উপরে উঠে যায়।
সেই স্প্রিংয়ের টুকরো রঞ্জিতের মাথায় এসে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুর্ঘটনার পরেই নিরাপত্তা নিয়ে সরব হন শ্রমিক নেতারা। সিটু নেতা তুফান মণ্ডল বলেন, ‘শ্রমিকদের সুরক্ষার দিকে নজর নেই ইসিএলের। শুধু উৎপাদন বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছে। সেফটি অফিসারদের দায়িত্ব নিয়মিত নজরদারি করা। কোথায় কোন মেশিনে সমস্যা রয়েছে তা মেরামতের ব্যবস্থা করা।
কিন্তু এখানে সেফটি অফিসারদের নজর খালি কোন কর্মী দেরি করে কাজে আসছেন, কে এক ঘণ্টা আগে খাদান থেকে উঠে আসছেন, তাঁদের ধরে ধরে চার্জশিট দেওয়া। সুরক্ষা নিয়ে ইসিএল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলব আমরা।’ আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের নেতা বীরবাহাদুর সিংয়ের বক্তব্য, ‘ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বহু আলোচনা হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনও হুঁশ নেই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে এবার আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’
সূত্রের খবর, দীর্ঘ বিক্ষোভের পর এদিনই মৃতের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ। আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।