তবে, পুরো ঘটনাটি নিয়ে সমাজ মাধ্যমে নানা গুজব রটানো হচ্ছে, সেই বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায় ‘সমাজমাধ্যমে একটা অংশ মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে।’ বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও নিন্দাপ্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করার জন্য যা ইচ্ছে করে যান, কিন্তু কারও মৃত্যুকে নিয়ে এভাবে ভয়াবহ রাজনীতি করবেন না। আজকে অন্তত তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করুন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।’
আরজি করের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ধনঞ্জয়ের ফাঁসির (হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ড) কথাও তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কোনও নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়। দেখেছেন ধনঞ্জয় কেসে কী হয়েছিল? মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখন বিলাপ করেন। তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেইজন্য তাঁকে দিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।’
বুধবার সন্ধ্যায় বেহালায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। আরজি করে ঘটনা নিয়ে একযোগে সিপিএম এবং বিজেপির তুলোধোনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যে তুলে ধরেন এর আগে ঘটে যাওয়া একাধিক নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস। বাম জমানায় বানতলা ধর্ষণ কাণ্ড থেকে শুরু করে তাপসী মালিক হত্যার ঘটনা, উত্তরপ্রদেশের হাথরাস, মণিপুরে মহিলাদের নগ্ন অবস্থায় প্যারেড করানোর ঘটনাপ্রসঙ্গ তুলে ধরে রাম-বামকে একযোগে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।