উল্লেখ্য, ১৮ নভেম্বর মানিক ভট্টাচার্যের মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। সেই সময় CBI-এর আইনজীবী অনুপস্থিত ছিলেন। তা নির্দেশনামায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি দেখেই কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন তিনি CBI-এর আইনজীবীকে বলেন, “মামলাগুলি ডিভিশন বেঞ্চের পর সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলাগুলিও গুরুত্বপূর্ণ। সবমিলিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত CBI-এর।” গুরুত্ব সহকারে পুরো বিষয়টি দেখার কথা বলেন তিনি। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রীতিমতো উত্তাল রাজ্য। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মানিকের পাশাপাশি তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের। তাঁদের অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কত টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেই বিষয়টির উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এদিকে SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে ED। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এই রাশি রাশি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চমকে উঠেছিলেন আম বাঙালি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছিলেন, অর্পিতার সঙ্গে বা এই অর্থের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও এই বিষয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছিলেন বিরোধীরা।
এরপরেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেন বিরোধীরা। বাংলার যোগ্য প্রার্থীরা প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তাঁরা। অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, আইন আইনের পথে চলবে।