২১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলায় সমাবেশ আয়োজন করেছিল আইএসএফ। সমাবেশে আসার পথে ভাঙরের হাতিশালায় তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আইএসএফ নেতাকর্মীরা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকী বোমাবাজিও করা হয়। ভাঙড়ে তৃণমূলের একাধিক দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এই গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতা আরবুল ইসলাম অনুগামীদের দিকে অভিযোগে আঙুল তোলে আইএসএফ।
তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে ধর্মতলা চত্বরে অবরোধ করেন আইএসএফ নেতাকর্মীরা। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ান আইএসএফ নেতাকর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ধর্মতলা চত্বর থেকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিক সহ মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীকালে ভাঙড়ের কাশীপুর, হাতিশালা থেকে একাধিক আইএসএফ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, নওশাদের ফোন থেকে এই মামলার অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, নওশাদের মুক্তির দাবিতে বিজেপি সহ একাধিক বিরোধী দল সরব হয়েছে। আইএসএফও ধর্মতলায় নাগরিক মিছিল করেছে। যদিও আইএসএফের তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম গোটা ঘটনার জন্য আইএসএফের উপর দায় চাপিয়েছিলেন। ভাঙড়ে তৃণমূলের শান্তি মিছিল হওযার কথা থাকলেও দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তা হয়নি। আগামী দিনে এই মামলার গতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।