West Bengal Local News: ধর্মতলা কাণ্ডে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddiqui) ধাক্কা। এদিন তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshal Court)। ভাঙড়ের বিধায়ককে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আদালত পুলিশের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ নওশাদ সিদ্দিক সহ মোট ২১ জনকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। প্রত্যেকের জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। নওশাদের হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে নওশাদকে তাদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত দুপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ২১ জনকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিন আদালতে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছিল। আইএসএফের অভিযোগ এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ISF সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লাকে এদিন আদালত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, সে বাসে করে পালাচ্ছিল, তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্মতলা বিশৃঙ্খলার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Bhangar ISF-TMC Clash : এলাকায় রাতভর তল্লাশি পুলিশের, হাতিশালার সংঘর্ষে গ্রেফতার আরও ৪ ISF কর্মী
২১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলায় সমাবেশ আয়োজন করেছিল আইএসএফ। সমাবেশে আসার পথে ভাঙরের হাতিশালায় তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আইএসএফ নেতাকর্মীরা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকী বোমাবাজিও করা হয়। ভাঙড়ে তৃণমূলের একাধিক দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এই গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতা আরবুল ইসলাম অনুগামীদের দিকে অভিযোগে আঙুল তোলে আইএসএফ।

ISF Procession : নওশাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদ! মিছিল নাগরিক মঞ্চের, শুরুতেই পুলিশের সঙ্গে বচসা ISF সমর্থকদের
তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে ধর্মতলা চত্বরে অবরোধ করেন আইএসএফ নেতাকর্মীরা। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ান আইএসএফ নেতাকর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ধর্মতলা চত্বর থেকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিক সহ মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীকালে ভাঙড়ের কাশীপুর, হাতিশালা থেকে একাধিক আইএসএফ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, নওশাদের ফোন থেকে এই মামলার অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, নওশাদের মুক্তির দাবিতে বিজেপি সহ একাধিক বিরোধী দল সরব হয়েছে। আইএসএফও ধর্মতলায় নাগরিক মিছিল করেছে। যদিও আইএসএফের তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম গোটা ঘটনার জন্য আইএসএফের উপর দায় চাপিয়েছিলেন। ভাঙড়ে তৃণমূলের শান্তি মিছিল হওযার কথা থাকলেও দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তা হয়নি। আগামী দিনে এই মামলার গতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version