প্রবীর চক্রবর্তী: ‘কোথা থেকে এত টাকা পাব’? বকেয়া ডিএ নিয়ে এবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মেদিনীপুরের সভায় বললেন, ‘কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। বঞ্চনা করছে, মিথ্যা বলছে। আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই’।
শহিদ মিনারের পাদদেশে বসেছেন রাজ্য কর্মচারীদের একাংশ। বকেয়া ডিএ দাবিতে আন্দোলন তীব্র হচ্ছে আরও। বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণার পর ফের কর্মবিরতি ডাক দিল যৌথমঞ্চ। কবে? ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি। আগামিকাল, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে পালিত হবে ধিক্কার দিবস। আন্দোলনকারীদের দাবি, ৩ শতাংশ নয়, বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে।
আরও পড়ুন: DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক যৌথমঞ্চের, শুক্রবার ‘ধিক্কার দিবস’
এদিন মেদিনীপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই। অনেকে বলেন, এটা পেলাম, ওটা দাও। যেটা পেলে সেটা ধরে রাখতে গেলে, যে টাকার প্রয়োজন, সেটা কোথা থেকে জোগাড় হবে? কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, বঞ্চনা করছে। মিথ্যা বলছে। জিএসটির জন্য কেন্দ্র টাকা পাচ্ছে। কিন্তু জিএসটি বাবদ রাজ্যের টাকা দিচ্ছে না’।
এদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যখন বঞ্চনার অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী, তখন বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজভবনে দরবার করল যৌথমঞ্চ। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন মঞ্চে ৪ প্রতিনিধি। সঙ্গে ছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
ডিএ নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ‘হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কর্মচারীদের বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে’। ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি-সহ রাজ্যপালকে চিঠি দেয় সংগ্রামী যৌথমঞ্চ।
