এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এলাকাবাসীর দাবি এরকম ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। হঠাৎই গয়না ও টাকা পয়সা চুরি যাওয়াতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন এলাকাবাসীরা। এই চুরির ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
তবে সকাল থেকেই প্রতিটি মন্দিরে তদন্ত শুরু করেছেন রানাঘাট থানার (Ranaghat Police Station) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ প্রশাসন। কে বা কারা এই চুরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আমাদের গ্রামে এই ধরনের ঘটনা আগে কোনওদিন ঘটেনি। রাতের অন্ধকারে এই চুরি করা হয়েছে, তাই কাকপক্ষীও টের পায়নি। সোমবার সকালে মন্দিরের দায়িত্বে থাকা সেবায়েতরা পুজো করতে এসে প্রথম এই চুরির ঘটনা খেয়াল করেন। তাঁরা মন্দিরের ভিতরে ঢুকে দেখেন বিগ্রহের গায়ে কোনও অলঙ্কার নেই।
মন্দিরের ভেতরে থাকা শিলামূর্তিগুলি মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসি আমরা”। খবর পেয়ে ছুটে আসে রানাঘাট থানার পুলিশ। পরপর পাঁচটি মন্দিরে চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গ্রামে রাত পাহারা শুরু হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার পাঁচটি মন্দিরেই যেভাবে একই রাতে চুরি হয়েছে তাতে একটি ঘটনার সঙ্গে অন্যটির সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা আছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঠিক একমাস আগেই শান্তিপুরের (Shantipur) একটি মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। প্রণামী বাক্স ভেঙে নগদ অর্থ চুরি করা হয়েছিল। তবে প্রতিমার গায়ের গয়না অন্যত্র রাখার জন্য বড়সড় ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচা গিয়েছিল সেই সময়।
শান্তিপুরের (Shantipur) সূত্রাগড় অঞ্চলের ষড়ভূজা বাজার এলাকায় প্রাচীন জাগ্রত রূপাকালী মাতার প্রণামী বাক্স ভেঙে খোয়া যায় বেশ কিছু নগদ অর্থ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ কোনও এক ব্যক্তি ওই প্রণামি বাক্স ভেঙে নগদ অর্থ নিয়ে যায়।