এর আগে রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক ও অধ্যাপকদেরও অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬০ থেকে ৬২ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তার আগেও সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকের ঘাটতি মেটাতে চিকিত্সক-অধ্যাপকদেরও অবসরের বয়স বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
অবসরের বয়স বাড়ানো নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখেও পড়ে রাজ্য। নতুন করে নিয়োগ না করে পুরনো কর্মীদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে বিরোধীরা।
রাজ্যে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চপ্রাথমিক, গ্রুপ সি থেকে গ্রুপ ডি সমস্ত নিয়োগেই উঠে এসেছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। রাজ্যে নতুন করে কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীদের নিশানায় রাজ্য সরকার। একের এক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তভার আদালত তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে গ্রুপ সি-তে বাতিল হয়ে যায় ৮৪২ জনের চাকরি। তার আগে গ্রুপ ডি-তে নিয়োগে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের ঘোষণা করে আদালত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্যে বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারদের পদোন্নতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দেন বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, সিভিক ভলান্টিয়াররা ভালো কাজ করলে তাঁদের কনস্টেবল পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হোক।