আর এমন ঘটনা শোনার পরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যুবকের বিয়ের দাবিতে ধরনা দেওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। শেষ পর্যন্ত ধুপগুড়ি থানার পুলিশ ধরনা দেওয়া ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একজন যুবকের বাড়ি ধূপগুড়ির খলইগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন ভোটপাড়া এলাকায়।
অপর যুবকের বাড়ি মোরঙ্গা চৌপথি সংলগ্ন এলাকায়। ধরনা দেওয়া যুবক হাসিনুর ইসলামের দাবি, তিন চার বছর আগে একসঙ্গে কাজ করার সময় তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমনকি তার কাছে প্রেমের প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি করেছে সে।
এই বিষয়ে হাসিনুর জানায়, “আমরা একসঙ্গে কাজ করতাম। সেই সময়েই আমরা একে অপরের ভালবাসায় জড়িয়ে পড়ি। আমরা দুজনেই সমপ্রেমী”। অন্যদিকে একজন ছেলের বাড়িতে অপর ছেলের ধরনা দেখার জন্য রীতিমতো ভিড় জমে যায়। অনেকে মোবাইল বের করে ভিডিয়ো করতে শুরু করেন।
শেষে পুলিশ ওই যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে যে বাড়ির সামনে ধরনা দেওয়া হচ্ছিল, সেই বাড়ির যুবক এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আমরা খবর পাই যে আমাদের পাড়াতে এক যুবক আরেক যুবককে বিয়ে করার দাবিতে ধরনা দিতে শুরু করেছে।
তাই সেটা দেখতে ছুটে আসি। কারন এর আগে টিভিতে বা খবরের কাগজে প্রেমিকের বাড়ির সামনে প্রেমিকাকে, বা প্রেমিকার বাড়ির সামনে প্রেমিককে ধরনা বা বিক্ষোভ দেখাতে দেখেছি। সেসব ক্ষেত্রে জড়িয়ে ছিল একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। কিন্তু দুটি ছেলের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, তাই কি ব্যাপার, তা দেখার লোভ সামলাতে পারিনি। যে বাড়ির সামনে ধরনা দেওয়া হচ্ছিল, সেই বাড়ির ছেলেটিকে আমরা চিনলেও, ধরনা দেওয়া ছেলেটিকে আমরা চিনি না। এটাও জানতাম না যে ওই বাড়ির ছেলেটি সমপ্রেমী”।