তবে অন্যান্য জায়গার তুলনায় পুরুলিয়া জেলায় বরাবরই তাপমাত্রার পারদ তুঙ্গে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি”। শুরু থেকেই যেন হাঁকিয়ে ব্যাট চালাচ্ছেন সূর্য মামা। ডাক্তাররাও পরামর্শ দিচ্ছেন বেশি করে ফল ও জল পান করতে। অকারণে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। পুরুলিয়া শহরের ও বাসস্ট্যান্ডের দোকানগুলিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে তরমুজ, আখের রস।
এদিন পুরুলিয়া শহরের কাজে আসা গয়ারাম পাণ্ডে বলেন, “অত্যাধিক রোদের তেজ তাই জেলা সদরে তাড়াতাড়ি কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে চাই বলেই সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেড়িয়েছি”। এই বলেই হনহনিয়ে গাড়ি ধরার জন্য পা বাড়ান তিনি। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “জরুরী দরকার ছাড়া বাইরে না বেরোনোই ভালো।
বেশি করে জল খান, ORS সঙ্গে রাখতে পারেন। মাঝে মধ্যে মুখে চোখে জল নিন, দরকারে রোদ চশমা , সুতির কাপড় ব্যবহার করুন”। দুই তিন দিন আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পারদ ৩৫ বা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। আচমকা তা প্রায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বেড়ে যাওয়ায় কার্যত অসহনীয় হয়ে উঠেছে আবহাওয়া।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুকনো হাওয়া ঢোকার কারণে তাপমাত্রা আচমকা বেড়ে গিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে যে ভাবে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে পারদ চড়ছে, তাতে আগামী ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৪৪ ডিগ্রিতে। আর এতেই প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন জেলার মানুষ। পুরুলিয়া সহ তিনটি জেলায় ব্যাপক আকারে তাপপ্রবাহের সর্তকতা রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। এই সময় কার্যত রোদে পুড়বে দক্ষিণবঙ্গ।