সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিজেপি যা প্রতিশ্রুতি দেয় ভোটের পর সব ভুলে যায় আর তৃণমূল যা বলে তাই করে দেয়। ভোটে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসায় বাংলার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ যে সমস্ত সুযোগ সুবিধার কথা ঘোষণা করেছিলেন তা বাংলার সমস্ত মানুষ পাচ্ছেন। যেখানে জিতেছেন সেখানকার মানুষও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন, যেখানে তৃণমূল হেরেছে সেখানকার মানুষও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাচ্ছে বলে দাবি করেন অভিষেক।
চোপড়ায় নিজের দলের কর্মী সদস্যদের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি টার্গেট করে অভিষেক বলেন, ”আমি নিজেদের রিপোর্ট কার্ড এনেছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনারা একুশের ভোট লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেখে দিয়েছিলেন। ভোটে জিতে তিনি নিজের প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। ৩৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরে প্রায় ৪ লাখ মা-বোনেরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। অন্যদিকে, ভোটের পর সমস্যায় বিজেপির কোনও কর্মীর দেখা পাওয়া যায়নি। উলটে বাংলার মিড ডে মিল থেকে ১০০ দিনের টাকা সব বন্ধ করে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু ভোটে জিততে মানুষের জন্য প্রকল্প ঘোষণা করেন না। সবুজ সাথী পায় নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়ারা। তাদের তো ভোটাধিকার তো নেই। ”
একইসঙ্গে আবারও কেন্দ্রীস সংস্থার তলব নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক। বলেন, ”ইডি-সিবিআইয়ের নোটিশ পাঠিয়ে অন্য দলকে বাড়িতে বসিয়ে রাখা যায়, তৃণমূলকে নয়। তৃণমূল মাথা নত করবে না। যত ধমকাবেন-চমকাবেন তৃণমূল ততো হবে। আমাকে তো এত নোটিশ পাঠাল। কী করতে পারল কাঁচকলা। ২০২৬-এ ২৪০ আসন নিয়ে ফিরব আমরা।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন পঞ্চায়েত ভোটে জনতার প্রতিনিধি জনগণের পছন্দ করে দেওয়া প্রতিনিধিই হবে তৃণমূল প্রার্থী। যে মানুষের জন্য কাজ করবে এমন প্রার্থীকেই বেছে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। অভিষেকের কথায়, ”গণতন্ত্রে জনতার কথাই শেষ কথা। জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধির মাথা আকাশে পাও আকাশে থাকলে তাঁকে পা ধরে চেনে নামাতে সময় নেবে না জনতা।”