South 24 Parganas News : গোয়ালঘরে চলছে শিশু শিক্ষাকেন্দ্র (Education Centre)! অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর (Sagar) ব্লকের মুড়িগঙ্গা- দু’নম্বর পঞ্চায়েতের কোম্পানিছাড় ১৪৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Anganwadi Center) বিরুদ্ধে।
হাইলাইটস
- গোয়ালঘরের মধ্যেই পড়াশোনা করানোর অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে
- খিচুড়িতে পোকা রয়েছে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা
- পোকা খাবারের জন্য তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন অভিভাবকরা
ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা
এই কেন্দ্রে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৪। যদিও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ (Unhealthy Environment) হওয়া অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের পাঠাতে চান না বলেই দাবি। পাশাপাশি এই ঘটনা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছে গ্রামবাসী। অভিভাবক লক্ষ্মী মণ্ডল বলেন, “খিচুড়িতে পোকা ভর্তি৷ এখানে একটুখানি খাবার দেয় তাও পোকা ভর্তি৷ কোনও সবজি দেয় না৷ আর গোয়ালঘরে স্কুল হয়৷ সেখানে শিশুরা পড়তে পারে!” অভিভাবক পার্বতী দাসের অভিযোগ, “খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দেখছি সাদা সাদা পোকা। সোয়াবিনগুলো সব কালো, খুলে দেখি সেখানেও পোকা। আশপাশের অনেকে সেই খিচুড়িই খেয়েছে না বুঝে। তারপর আমরা সবাই অঙ্গনওয়াড়িতে গিয়ে বলি। দিদিমণি বলে ভুল হয়ে গিয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, “এই খিচুড়ি খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, ওরা টাকা দেবে। আমরা ছেলেমেয়েদের মূর্খ রেখে দেব, কিন্তু গোয়ালঘরে পড়াব না। গোয়ালঘরে বসে পড়াশোনা হয়!”
কী বলছেন শিক্ষক?
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা সুপ্রভা দাসের দাবি, ‘‘দোকানে সোয়াবিনটা ফেরত দিয়ে দেব৷ আগামী দিনে যাতে ভালো সোয়াবিন দেওয়া হয়, সেটা দেখব৷ আমরা তো স্টোর করে রাখি না৷ দোকান থেকে এনেছিলাম, কোনও কারণে পোকা ছিল৷’’ গোয়ালঘরে ক্লাস চলা নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘আমার নিজের বাড়ি নয়৷ একজন জায়গা দিয়েছে, সেন্টার হয়নি, যা আছে সেখানে কাজ করি৷ সেজন্য অভিভাবকরা শিশুদের পাঠাতে চায় না৷ আমরা গাছতলায় চট পেতে বসালেও, সবাই প্রতিবাদ করে৷’’ তাঁর আর দাবি, ‘‘স্থানীয় সদস্য থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত, BDO সবাইকে জানিয়েছি৷ BDO অফিস থেকে বারবার এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়৷’’
রাঁধুনি আফরিজা বিবির দাবি, ‘‘দোকান থেকে সোয়াবিন এনেছে, আমি সেটা জলে ভেজানোর পরও খারাপ দেখিনি৷ দু’-একটা খারাপ ছিল, সেটা ফেলে দিয়েছি৷ তারপরও যদি পোকা থাকে, কী করব৷ আগামী দিনে আরও ভালো করে দেখে করব৷’’ তাঁর দাবি, ‘‘সেন্টার হচ্ছে না বলেই গোয়ালঘরে স্কুল হচ্ছে৷’’
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ