পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯ বছরের ওই তরুণীর বাপের বাড়ি গঙ্গারামপুরের সর্বমঙ্গলা এলাকায় (West Bengal News)। গত দু’মাস আগে কুশমণ্ডির মহিপাল এলাকায় তাঞ্জুরুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। অভিযোগ, এক যুবকের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। এর জেরে স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ তুঙ্গে ওঠে । শুক্রবার রাতে এক প্রস্থ ঝগড়ার পর গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালান ওই গৃহবধূ।
মাঝরাতে প্রেমিকের সাইকেলে ওই তরুণীকে যেতে দেখে প্রহরারত সিভিক ভলান্টিয়ারের সন্দেহ হয়। তাদেরকে হাত দেখিয়ে থামতে বলতেই ভয় পেয়ে ওই প্রেমিক তরুণীকে মাঝরাস্তায় সাইকেল সমেত ফেলে পালায়। এরপরই ওই গৃহবধূকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর অসংলগ্ন উত্তরে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় লোকেদের উপস্থিতিতে ওই গৃহবধূকে বংশীহারী থানায় নিয়ে যায় ওই ভলান্টিয়ার।
একদিকে প্রেমিক ওভাবে মাঝ রাস্তায় ফেলে পালানোয় মানসিকভাবে সাংঘাতিক আঘাত পান তরুণী। তারপর থানায় নিয়ে আসে হলে মারাত্মক ভয় পেয়ে যান। থানায় এসে ওই তরুণী বাথরুমে যেতে চাইলে মহিলা পুলিশকর্মী তাঁকে নিয়ে যান। কিন্তু অনেকক্ষণ পরেও তিনি বাইরে না আসায় সন্দেহ হয়। বাথরুমের দরজা ভেঙে দেখা যায় তরুণী ওড়না গলায় জড়িয়ে সিলিং থেকে ঝুলছেন। তড়িঘড়ি গৃহবধূকে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তরুণীর অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। সিসিটিভির ফুটেজ সহ অন্যান্য বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।