দু’দিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) মৃত পড়ুয়া ফয়জানের মৃত্যু নিয়ে খড়গপুর আইআইটির ডিরেক্টরের কাছে রিপোর্ট তলব করে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন হস্টেল থেকে ওয়ার্ডেনরা ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন আগেই। আদালতের প্রশ্ন, তারপরও কেন ব্যবস্থা নেয়নি আইআইটি কর্তৃপক্ষ? আদালত তার রায়ে জানায়, “আদালত জানতে চায়, ব়্যাগিং বন্ধ করতে ওয়ার্ডেন ও প্রতিষ্ঠান কোন কোন পদক্ষেপ নিয়েছে? আদালতের সামনে যা আসছে, তাতে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনা ব়্যাগিংয়ের।” উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটে যাওয়া আরও একটি ব়্যাগিংয়ের ঘটনা সামনে আনা হয়। সেই ঘটনার কথা পিটিশনার তুলে ধরেন।
ব়্যাগিংয় নিয়ে আদালতের কড়া নির্দেশের পরেই মঙ্গলবার ‘অ্যান্টি ব়্যাগিংয়ের স্কোয়াড’ গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানাল আইআইটি কর্তৃপক্ষ। আইআইটির নির্দেশে বলা হয়েছে, যে কোনও রকমের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ আসা মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করবে এই স্কোয়াড। ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রমাণ ও তথ্য জোগাড়ের কাজ করবে স্কোয়াডের সদস্যরা। ব়্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টি ব়্যাগিংয়ের স্কোয়াডে অভিযোগ জানানোর জন্য বলা হয়েছে পড়ুয়াদের। এমনকি ছাত্রদের সুবিধার্থে স্কোয়াডের সদস্যদের ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় অসমের বাসিন্দা ফাইজ়ান আহমেদের ঝুলন্ত দেহ। b-tech মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় CID কিংবা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন মৃতের বাবা সেলিম আহমেদ। সেই আর্জি নিয়ে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন ওই ছাত্র। আগামী ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।