এই সময়: আইসিএসই, সিবিএসই-র মতো সর্বভারতীয় বোর্ডের পড়ুয়াদের সঙ্গে যাতে নম্বরের দৌড়ে রাজ্যের পড়ুয়ারাও টক্কর দিতে পারে, সে জন্য ক্ষমতায় আসার পরই স্কুল-কলেজের পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সোমবার ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব ও স্মার্টফোনের জন্য সরকারি অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে নিজেই সে কথা জানালেন।

Mamata Banerjee : লোভ করো না, লোভের থেকে মনুষ্যত্বের দাম বেশি: মমতা
এ দিন তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা কিছুই পাইনি। আমি পাইনি বলে ওরা পাবে না? আমি পাইনি বলেই তো আমার শিক্ষা হয়েছে।’ তাঁর বক্তব্য, ‘সিবিএসই-র ছেলেমেয়েরা ৯৮-৯৯ পেত। আর আমাদের আগে কত নম্বর দিত! হাত দিয়ে নম্বরই গলত না। তাই বলেছিলাম, বাড়িয়ে দাও নম্বর। আমি ছাত্রছাত্রীদের প্রাণ ভরে সব ঢেলে দিতে পারি। তাতে আকাঙ্ক্ষা মিটবে না। এমন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করবে, যাতে সর্বভারতীয় ও বিশ্বের লড়াইয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরাও টিকে থাকতে পারে।’

Mamata Banerjee : ‘…পাঁচটা ছেলেই কি সমান?’ জনসভায় পার্থর প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন মমতার
এ দিনের অনুষ্ঠানে মমতার সঙ্গে এক মঞ্চে থেকে শিশু দিবসও পালন করে পড়ুয়ারা। তাদেরই একজন, সাখাওয়াত গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী শেজা হাসনেইন। বাকিদের মতো সে-ও পেয়েছে, টেডি বেয়ারের সঙ্গে নতুন ব্যাগে চকোলেটের প্যাকেট, আঁকার খাতা, রং পেন্সিল, টিফিন বক্স, পেন্সিল বক্স এবং জলের বোতল।

Narendrapur News : সাউথ পয়েন্টের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, নেপথ্যে কি সম্পর্কের টানাপোড়েন?
মুখ্যমন্ত্রীর নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে এ দিন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, ‘উনি বলছেন, আমি এসে নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছি! কোনও মেধাযুক্ত ছাত্রছাত্রী কি চায়, আমি ৬০ পেয়েছি, আপনারা ৯৮ করে দিন? ১০ হাজার টাকার ট্যাব দেওয়ার নামে শিক্ষার সর্বনাশ করে দিয়েছেন। কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন মেধাকে?’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version