আলিমুদ্দিনে আধুনিকতার ছোঁয়া। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারে আগেই ব্যাপক সাফল্য এসেছে। ভোটবাক্সে কিছুটা হলেও টক্কর দেওয়ার জায়গায় পৌঁছনো গিয়েছে মনে করছে CPIM। আর তাই জেনারেশন নেক্সটকে টার্গেট করতে আরও আধুনিক হচ্ছে বামেরা। এবার ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থা করল লাল পার্টি। নির্বাচনী প্রচার, পার্টির নানা কর্মসূচির জন্য কৌটো হাতে বিমান বসুকে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে। চিরাচরিত এই দৃশ্যে এবার বদল। ফ্রন্ট চেয়ারম্যানের হাতে দেখা গেল ডিজিটাল কিউ আর কোড। যা স্ক্যান করে এবার CPIM পার্টি ফান্ডে অর্থ সাহায্য করা যাবে।

CPIM Farmers Union : পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট, বাঁকুড়ায় CPIM -র জাঠা
ডিজিটাল অর্থ সংগ্রহ CPIM-এর

আধুনিকতার পথে আরও একধাপ হাঁটল CPIM। এবার পার্টির তহবিলে চাঁদা সংগ্রহের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমেও হাজির বামেরা। পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম উদ্বোধন করলেন CPIM-এর ডিজিটাল স্ক্যান কোডের (Digital Scan Code)। যার মাধ্যমে অনায়াসেই ডিজিটালি টাকা পাঠানো যাবে পার্টি ফান্ডে। অর্থাৎ এবার থেকে অনলাইনেও চাঁদা দেওয়া যাবে CPIM-কে। মূলত যারা রাজ্যের বাইরে থাকেন, যে সকলক পার্টি দরদীরা প্রকাশ্যে পার্টিকে সহায়তা করতে পারেন না, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। এমনটাই জানিয়েছে পার্টি নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের এই ডিজিটাল ডোনেশন (West Bengal CPIM Digital Donation) মাধ্যমে যারা চাঁদা দেবেন, তাঁদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে। এই ডিজিটাল ডোনেশন (Digital Donation) পদ্ধতির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মানুষের লড়াইয়ে, মানুষের রসদ সংগ্রহ’।

2014 TET Result West Bengal : টেট চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় শুভেন্দু-সুজন-দিলীপ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ আইনজীবীরা
বিমান বসুর আর্জি

ডিজিটাল ডোনেশন (Digital Donation) পদ্ধতির উদ্বোধন করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose) বলেন, “আমরা জনগণের স্বার্থে, জনগণের জন্য কাজ করি। এই কাজ করার জন্য বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের লড়াই সংগ্রাম সংগঠিত করার জন্য আমাদের অর্থের প্রয়োজন হয়। আমরা গণ অর্থ সংগ্রহ করার মাধ্যমেই আমরা জোগান করে থাকি। চাকরি চুরির মতো কাণ্ড কারখানা দেখে অনেকেরই মনে হয় টাকা বোধহয় সহজলোভ্য। কিন্তু, আমাদের পার্টির কাজ করার জন্য টাকা সহজলোভ্য নয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বড় জমায়েত বা মিছিল এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়। সাধারণ মানুষের কাজ থেকেই সেই অর্থ আমরা সংগ্রহ করে থাকি। কর্পোরেট হাউজ থেকে নির্বাচনী বন্ড ইস্যু হয়। আমরা তা নিই না। নির্বাচনের কাজে যে অর্থের প্রয়োজন হয় তা শুভেন্যুধায়ী, বুদ্ধিজীবীদের থেকে সংগ্রহ করে থাকি। ডিজিটাল যুগে অর্থ সংগ্রহ করার জন্য এই মাধ্যমটাকেও আমরা ব্যবহার করতে চাই। তাই লড়াই সংগ্রামের বন্ধুদের কাছে আবেদন, ব্যয় সংকোচন না করেও যারা অর্থ দিতে পারেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেই অর্থ আমাদের পার্টি ফান্ডে জমা করুন। নতুন প্রজন্মকে লড়াই সংগ্রামে অগ্রসর করতেই এই ব্যবস্থা। পাশাপাশি আমার মতো বয়স্ক মানুষদের কাছেও আবেদন জানাচ্ছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version