মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, সর্বভারতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের (All India Medical Council) ছাড়পত্র পেয়েছে আরামবাগ প্রফুল্ল চন্দ্র সেন মেডিকেল কলেজে গভর্নমেন্ট এন্ড হাসপাতাল। ১০০ আসনের কলেজে আপাতত ৮৩ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শুরু হল পঠন-পাঠন। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের পঠন-পাঠনের উদ্বোধন করেন প্রিন্সিপাল রমাপ্রসাদ রায়। আপাতত ২০ জন চিকিৎসক, অধ্যাপক, শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন করাবেন। জানা গিয়েছে, আরামবাগ প্রফুল্ল চন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন ভবনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই ঘটা করে কোনও উদ্বোধন হয়নি।
এদিনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি কোনও সাংসদ, বিধায়ক বা কোনও প্রশাসনিক আধিকারিকদের। ঘরোয়া পরিবেশে উদ্বোধন করা হয়। জানা গিয়েছে, প্রথমে তারকেশ্বরে মেডিক্যাল কলেজ করা হবে বলে ঘোষণা করা হলেও উপযুক্ত জমি না পাওয়ায় আরামবাগে মেডিক্যাল কলেজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তৎকালীন আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর প্রচেষ্টায় দ্রুত জমি খোঁজা শুরু হয়। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর হাত ধরে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য নিদিষ্ট জমি দেওয়া হয়। শুরু হয় বিন্ডিং তৈরি কাজ। অবশেষে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। ২০২২ সালের ১৬ ই নভেম্বর আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের পঠন-পাঠন শুরু হল।
হুগলি সহ পার্শ্ববর্তী বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া জেলা মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন এই নতুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য। মেডিক্যাল কলেজে সাত তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের পাশাপাশি, বয়েজ ও গার্লস হস্টেল, ওপিডি কমপ্লেক্স, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী আবাসন, নার্সদের জন্য আলাদা আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। মোট ৫৯৪ টি শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতাল আগামী দিনে রাজ্যের স্বাস্থ্য মানচিত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই আশা চিকিৎসা মহলে।