গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে যাত্রা শুরু হয় কুমিল্লার বাসিন্দা সাইফুলের৷ বেনাপোল সীমান্ত হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে দার্জিলিংয়ের দিকে যাচ্ছেন তিনি৷ নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের মধ্যে দার্জিলিং হয়ে সান্দাকফু গিয়ে এই ভ্রমণ শেষ করা ইচ্ছে রয়েছে ভূগোল নিয়ে স্নাতক সাইফুলের৷ প্রকৃতিকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। সেজন্য প্রচুর বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। তাই সকলকে আরও বেশি গাছ লাগানোর আবেদনের পাশাপাশি অকাল পঙ্গুত্ব রোধে প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার বার্তা দিচ্ছেন৷
সাইফুল জানান, প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক জলবায়ু বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হল বৃক্ষ কমে যাওয়া৷ পরিবেশ রক্ষা করতে হলে গাছ লাগানোই নয়, সেটাকে বাঁচাতে হবে৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় এই যাত্রা সম্পন্ন হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷ তবে আরও অনেক সংগঠনই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ প্রকৃতি, মানুষ সবকিছু কাছ থেকে দেখার তাগিদে তিনি বেরিয়ে পড়েছেন ঘর থেকে অন্য দেশের উদ্দেশ্যে৷ যদিও অচেনা দেশে এসেও এখানকার সবার ভালোবাসা পাচ্ছেন বলেও হাসিমুখে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘মনেই হচ্ছে না যে আমি দেশের বাইরে এসেছি৷ এখানকার ভাষা এক, খাওয়া এক৷ পথে বিভিন্ন সংগঠন এবং পথচলতি মানুষ এমনিই চলে আসছেন৷ মানুষ এখন এদেশে আসতে ভীষণ আগ্রহী৷ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করাই লক্ষ্য৷’’ এপার বাংলার মানুষের ব্যবহারে তিনি আপ্লুত বলেও জানান। দুই বাংলার সম্প্রীতির মেলবন্ধন যাতে আরও সুদৃঢ় হয় সে প্রসঙ্গেও বিশেষ বার্তা দেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রায়গঞ্জের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা হিমাংশু শীল বলেন, ‘‘তিনি যে বার্তা দিতে এদেশে এসেছেন, আমাদের বাস্তবায়িত করতে হবে৷ তা হলেই লক্ষ্য সফল হবে৷ এটা খুবই ভালো উদ্যোগ৷’’