পায়ে হেঁটে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে চলে এসেছেন এক যুবক৷ ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় আসা যুবকের লক্ষ্য দুই বাংলার মেল বন্ধন। সঙ্গে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তাও দিতে চান তিনি৷ ওপার বাংলা থেকে পায়ে হেঁটে শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জে (Raiganj) এসে পৌঁছন বাংলাদেশের (Bangladesh) কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম (Saiful Islam)। স্থানীয় মানুষদের মধ্যে বেশ কৌতূহল তৈরি হয় তাঁকে নিয়ে। এর আগে ২০১৮ সালে একই বার্তা নিয়ে পর্বত অভিযান করেছেন তিনি। সেখানেও সাফল্য পেয়েছেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে পায়ে হেঁটে একহাজার কিলোমিটার হাঁটেন তিনি। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার হেঁটে ভ্রমণ করেছেন ৭৫ দিনে৷ এই বছরই জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত হেঁটে সেই ভ্রমণ সম্পন্ন করেন৷ জনমানসে ছড়িয়ে দেন সচেতনতার বার্তা। তবে এবার তিনি দেশ ছাড়িয়ে প্রতিবেশী দেশে এসেছেন।
Narendra Modi Indonesia : ‘পাশে আছি’ বলেও ইন্দোনেশিয়াকে রামমন্দির স্মরণ করালেন মোদী
গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে যাত্রা শুরু হয় কুমিল্লার বাসিন্দা সাইফুলের৷ বেনাপোল সীমান্ত হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে দার্জিলিংয়ের দিকে যাচ্ছেন তিনি৷ নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের মধ্যে দার্জিলিং হয়ে সান্দাকফু গিয়ে এই ভ্রমণ শেষ করা ইচ্ছে রয়েছে ভূগোল নিয়ে স্নাতক সাইফুলের৷ প্রকৃতিকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। সেজন্য প্রচুর বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। তাই সকলকে আরও বেশি গাছ লাগানোর আবেদনের পাশাপাশি অকাল পঙ্গুত্ব রোধে প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার বার্তা দিচ্ছেন৷

G20 Summit 2022 : বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই করোনায় আক্রান্ত কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী!
সাইফুল জানান, প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক জলবায়ু বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হল বৃক্ষ কমে যাওয়া৷ পরিবেশ রক্ষা করতে হলে গাছ লাগানোই নয়, সেটাকে বাঁচাতে হবে৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় এই যাত্রা সম্পন্ন হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷ তবে আরও অনেক সংগঠনই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ প্রকৃতি, মানুষ সবকিছু কাছ থেকে দেখার তাগিদে তিনি বেরিয়ে পড়েছেন ঘর থেকে অন্য দেশের উদ্দেশ্যে৷ যদিও অচেনা দেশে এসেও এখানকার সবার ভালোবাসা পাচ্ছেন বলেও হাসিমুখে জানান তিনি।

Dilip Ghosh : ‘আমাদের সৌভাগ্য…’, নবনিযুক্ত রাজ্যপাল নিয়ে মত দিলীপের
তিনি বলেন, ‘‘মনেই হচ্ছে না যে আমি দেশের বাইরে এসেছি৷ এখানকার ভাষা এক, খাওয়া এক৷ পথে বিভিন্ন সংগঠন এবং পথচলতি মানুষ এমনিই চলে আসছেন৷ মানুষ এখন এদেশে আসতে ভীষণ আগ্রহী৷ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করাই লক্ষ্য৷’’ এপার বাংলার মানুষের ব্যবহারে তিনি আপ্লুত বলেও জানান। দুই বাংলার সম্প্রীতির মেলবন্ধন যাতে আরও সুদৃঢ় হয় সে প্রসঙ্গেও বিশেষ বার্তা দেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রায়গঞ্জের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা হিমাংশু শীল বলেন, ‘‘তিনি যে বার্তা দিতে এদেশে এসেছেন, আমাদের বাস্তবায়িত করতে হবে৷ তা হলেই লক্ষ্য সফল হবে৷ এটা খুবই ভালো উদ্যোগ৷’’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version