স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ আগুন লাগে দাস পরিবারের মাটির দেওয়াল এবং টালির ছাউনি দেওয়া বাড়িতে। হঠাৎ দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বাড়িটি। পরে বাড়ি লাগোয়া গোয়ালঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ে ইতিমধ্যেই তিনটি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে৷ আরও পাঁচটি ছাগল (Goat) এবং তিনটি গোরু (Cow) অগ্নিগদ্ধ, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ পুড়ে গিয়েছে বাড়ির সব সামগ্রী ও মজুত চাল-ডাল। আগুন লাগার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে হাত দেয়। পরে তিনটি পাম্প বসিয়ে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেন স্থানীয়রা। এরপর খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে।
ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারাই পাম্পের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছিলেন৷ দমকলের আধিকারিকরাও একটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন৷ স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের আধিকারিকদের ঘঠণ্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ যদিও দমকল আসার আগেই সব পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল৷ অগ্নিকাণ্ডে বাড়ির জিনিসপত্র সহ গোয়ালঘর পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যায়৷ ফলে দাস পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন৷
বাড়ির সন্ধ্যাবাতি থেকে আগুন লাগে বলে অনুমান৷ অগ্নিকাণ্ডে এই পরিবারের সব পুড়ে গেলেও, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি এখনও৷ এখন ওই পরিবারটির দিশেহারা অবস্থা৷ তারা কী করবেন, কোথায় যাবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না৷ গবাদি পশু প্রতিপালন করেই তাদের সংসার চলত, যার অনেকগুলিই ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে মারা গিয়েছে এবং বাকিগুলির অবস্থা সংকটজনক৷ এবার তাদের সংসার চালানোও দায় হয়ে পড়েছে বলেই জানান পরিবারের সদস্যরা৷ ওই পরিবারে এখন শুধুই সব হারানোর কান্না৷