West Bengal News বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল গৃহস্থ বাড়ি ও সংলগ্ন গোয়ালঘর (Cowsheds)। তিনটি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে এবং অগ্নিদগ্ধ আরও ছয়৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের মুড়িগঙ্গা দুই পঞ্চায়েতের ফুলবাড়ি এলাকায়৷ বাড়িতে মজুত খাদ্যসামগ্রীও আগুনে পুড়ে গিয়েছে৷ অগ্নিকাণ্ড দেখেই স্থানীয় মানুষজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন৷ পরে পাম্প বসিয়েও তাঁরা আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের (Fire Brigade) একটি ইঞ্জিন৷ স্থানীয় বাসিন্দা এবং দমকলের একটি ইঞ্জিনের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়৷ তবে অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে দাস পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কোনও কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না দিশেহারা পরিবারটি৷

Nadia News : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শান্তিপুরে, ভস্মীভূত গৃহস্থ বাড়ি!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ আগুন লাগে দাস পরিবারের মাটির দেওয়াল এবং টালির ছাউনি দেওয়া বাড়িতে। হঠাৎ দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বাড়িটি। পরে বাড়ি লাগোয়া গোয়ালঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ে ইতিমধ্যেই তিনটি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে৷ আরও পাঁচটি ছাগল (Goat) এবং তিনটি গোরু (Cow) অগ্নিগদ্ধ, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ পুড়ে গিয়েছে বাড়ির সব সামগ্রী ও মজুত চাল-ডাল। আগুন লাগার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে হাত দেয়। পরে তিনটি পাম্প বসিয়ে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেন স্থানীয়রা। এরপর খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে।

Kamarhati Fire : কামারহাটি জুটমিলে বিধ্বংসী আগুন, তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারাই পাম্পের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছিলেন৷ দমকলের আধিকারিকরাও একটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন৷ স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের আধিকারিকদের ঘঠণ্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ যদিও দমকল আসার আগেই সব পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল৷ অগ্নিকাণ্ডে বাড়ির জিনিসপত্র সহ গোয়ালঘর পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যায়৷ ফলে দাস পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন৷

Hooghly Fire : চন্দননগরে দিল্লি রোডের পাশে ভয়াবহ আগুন, পরে নিয়ন্ত্রণে
বাড়ির সন্ধ্যাবাতি থেকে আগুন লাগে বলে অনুমান৷ অগ্নিকাণ্ডে এই পরিবারের সব পুড়ে গেলেও, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি এখনও৷ এখন ওই পরিবারটির দিশেহারা অবস্থা৷ তারা কী করবেন, কোথায় যাবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না৷ গবাদি পশু প্রতিপালন করেই তাদের সংসার চলত, যার অনেকগুলিই ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে মারা গিয়েছে এবং বাকিগুলির অবস্থা সংকটজনক৷ এবার তাদের সংসার চালানোও দায় হয়ে পড়েছে বলেই জানান পরিবারের সদস্যরা৷ ওই পরিবারে এখন শুধুই সব হারানোর কান্না৷



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version