জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লক্ষ্য দেশের জন্য ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়। টার্গেট নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে প্রথম বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) জয়। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাতারে নেমে পড়ল ব্রাজিল (Brazil)। সেলেকাওরা যেমন ট্রফির খরা মেটাতে চাইছেন, ঠিক তেমনই নেইমার তাঁর দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে (Cristiano Ronaldo) হারাতে মরিয়া ব্রাজিলের ‘পোস্টার বয়’। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য ফেভারিট তকমা নতুন কিছু নয়। বলতে গেলে প্রতিটি বিশ্বকাপেই ব্রাজিল খেলতে নামে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হচ্ছে, ২০০২ সালের পর আর বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে নিতে পারেনি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল সেলেকাওরা।
এবার ব্রাজিলিয়ানদের ২০ বছরের হাহাকার ঘোচাতে চান নেইমার। হেক্সা (ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা) জয়ের মিশন নিয়েই কাতারে এসেছে তাঁর দল। কাতারে পা রাখার আগেই অবশ্য হেক্সা জয়ের চ্যালেঞ্জের কথা তাঁর প্যারিস সাঁ জাঁ-র (Paris Saint-Germain) সতীর্থ আর্জেন্টাইন তারকা মেসিকে জানিয়ে এসেছেন নেইমার। এই ইস্যুকে মেসির সঙ্গে কথা হয়েছে নেইমারের? টেলিগ্রাফের সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলিয়ান তারকা বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির সঙ্গে কমই কথা হয়েছে আমার। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল বা ফাইনাল হবে কি না, কখনও কখনও আমরা এ নিয়ে আলোচনা করি। আমি ওকে বলেছি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হব এবং আমি তাকে হারাব। এটা বলার পর আবার আমরা দুজনই হেসে ফেলেছিলাম।’
আর কয়েক ঘন্টা পর থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। এর আগের দিন শনিবার রাতে ৩২ দলের সর্বশেষ দল হিসেবে কাতারে পৌঁছে গিয়েছিল ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নিতে গভীর রাতেও দোহার বিমানবন্দরে ছিল সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়। সুপারস্টার নেইমারকে এক নজর দেখার জন্য তাদের আকুতির শেষ ছিল না।
নেইমার এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর দল কলম্বিয়ার বিপক্ষে জিতলেও চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। জার্মানির বিরুদ্ধে সেমি ফাইনালে খেলতে পারেননি। বেলো হরাইজন্তের সেই ম্যাচে ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে জার্মানির বিরুদ্ধে ৭-১ গোলে উড়ে গেছে ব্রাজিল। আর ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে গেছে নেইমারের ব্রাজিল। এবার বিশ্বকাপে আসার আগে নেইমার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটা হতে পারে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। সেই দিক থেকে শেষটা রাঙাতে চান তিনি। মেসিরও এটা সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার অধিনায়কও দেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপ জিততে না পারার অপূর্ণতা ঘোচাতে চান।
যদিও কোচ তিতের অধীনে ব্রাজিল গত ২৯ ম্যাচে হারেনি, শেষ ১৭ ম্যাচের ১৩টিতে কোনও গোলও হজম করেনি। নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রিচার্লিসন, ক্যাসেমিরো, ভিনিসিয়ুজ জুনিয়রেরা প্রত্যেকেই বিশ্বকাপের আগে ক্লাব ফুটবলে দারুণ ফর্ম দেখিয়েছেন। ফলে ২০ বছরের খরা কাটিয়ে ব্রাজিল বিশ্বকাপ হাতে তুললে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।