পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমে (Birbhum) বোমাবাজি, মারধর ও খুনের ঘটনা অব্যাহত বেশ কিছুদিন ধরে। কখনও বাঁশঝোরের যুবক খুনের ঘটনা তো কখনো সাঁইথিয়ায় বোমাবাজির ঘটনা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পদুমার প্রাক্তন অঞ্চল সহসভাপতিকে মারধরের ঘটনা ঘটল। অভিযোগ, বাজারে যাওয়ার সময় রবিবার সন্ধ্যায় দুবরাজপুরের পদুমা অঞ্চলের সভাপতি তরুণ গড়াই সহ ৩০ – ৩৫ জন হঠাৎ হামলা চালায় পদুমার প্রাক্তন অঞ্চল সহ সভাপতি বিপদ তাড়ন ভাণ্ডারী ও তাঁর চার সঙ্গীর উপর। তাঁদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
একাধিক গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসায় কার্যত অতিষ্ঠ দলের ঊর্দ্ধতন নেতৃত্ব। বাধ্য হয়েই এদিন মুখ খুললেন জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি মলয় মুখার্জী । তিনি বলেন, ” পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সবাই ভোটে দাঁড়ানোর জন্য টিকিট নিতে চাইছে। তাই নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এই সমস্ত গন্ডগোল গুলো করছে । আমরা এটাকে দমন করার ব্যবস্থা করছি কোনোভাবেই শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে দেওয়া যাবে না “
বস্তুত, কয়েকদিন বাদেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কলকাতায় বৈঠকে বসবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ভূমিকা কী হবে তা স্থির করতে আগামী ২৬ তারিখ কলকাতায় বৈঠক বসছে শাসক দল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জেলার বিধায়ক-সাংসদ-বিভিন্ন সাংগঠনিক পদাধিকারীদের সঙ্গে এই বৈঠক করবেন বলে আপাতত স্থির হয়েছে। কেষ্ট নেই, ফলত আগামী দিনে দলের একাধিক গোষ্ঠী এভাবে সম্মুখ সমরে নামলে যে আদতে দলেরই ক্ষতি হবে, সে ধারণা স্পষ্ট জেলা নেতৃত্বের কাছে। কলকাতার বৈঠকেও এ বিষয়ে দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড নির্দেশ দেবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।