কেষ্টই ভাগ্যেই কি বারে বারে শিকে ছিঁড়েছিল? তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কি লটারি পেয়েছিলেন বারেবারে? এবার এই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমের বড়শিমুলা গ্রামে পৌঁছলেন CBI-এর আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এই গ্রামের বাসিন্দা শেখ নুর আলিকে নোটিশ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। প্রাথমিকভাবে CBI-এর সন্দেহ, এই নুর আলিই লটারি পেয়েছিলেন যার অর্থ পরে হাত বদল হয়। নুরের পাশাপাশি তাঁর দাদাকেও নোটিশ ধরায় CBI। তদন্তকারীদের অস্থায়ী ক্যাম্পে বেলা ১১টা নাগাদ তলব করা হয়েছে তাঁদের। নুরের বাড়ির সামনে একটি নীল রংয়ের গাড়িও দেখা যায়। তাঁদের আয়ের উৎস কী? এই যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের মারফত বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের লটারি পাওয়ার রহস্য উদঘাটন করতে চাইছেন তদন্তকারীরা, সূত্রের খবর এমনটাই।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জয়ের গুঞ্জন এবং একটি ওয়েবসাইটে তাঁর ছবি সহ এক কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল। যদিও তাঁর লটারির নেশা কোনওদিন ছিল না, সেই সময় জানিয়েছিলেন অনুব্রত। তিনি আরও বলেছিলেন, সত্যি যদি তিনি কোনও লটারি পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সেই অর্থ মানুষের উন্নয়নে দান করে দেবেন। কিন্তু, গোরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে একটি নয়, একাধিক লটারি পেয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। CBI সূত্রে জানা গিয়েছিল, অনুব্রত কন্যা সুকন্যার দু’টি অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা বাবদ একটি মোটা অঙ্ক ঢুকেছিল।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জয়ের গুঞ্জন এবং একটি ওয়েবসাইটে তাঁর ছবি সহ এক কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল। যদিও তাঁর লটারির নেশা কোনওদিন ছিল না, সেই সময় জানিয়েছিলেন অনুব্রত। তিনি আরও বলেছিলেন, সত্যি যদি তিনি কোনও লটারি পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সেই অর্থ মানুষের উন্নয়নে দান করে দেবেন। কিন্তু, গোরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে একটি নয়, একাধিক লটারি পেয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। CBI সূত্রে জানা গিয়েছিল, অনুব্রত কন্যা সুকন্যার দু’টি অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা বাবদ একটি মোটা অঙ্ক ঢুকেছিল।
এর আগেও বোলপুরে গাঙ্গুলি লটারি নামক একটি দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল CBI। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের কেনা লটারির সঙ্গে ওই দোকানটির যোগাযোগ রয়েছে। এরপর তিন লটারি বিক্রেতাকে বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করা হয়। অনুব্রত মণ্ডল নিজে লটারি কিনেছিলেন নাকি অন্য কেউ তাঁর হয়ে লটারি কেনেন, এই বিষয়গুলি জানতে চাওয়া হয়েছিল।
ফের একবার বোলপুরের গ্রামে পা রাখলেন CBI-এর গোয়েন্দারা। কেন কেষ্টর কাছাকাছি বা ঘনিষ্ঠদের ভাগ্যেই লটারি জুটেছে? সেই বিষয়টি এখন গোয়েন্দাদের আতস কাচের নীচে। যদিও কেষ্ট ঘনিষ্ঠ কে বা কারা কত টাকার লটারি পেয়েছেন সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।