West Bengal News : ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFA world cup 2022) জ্বরে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ (Football World Cup)। অনেকেই নিজের প্রিয় দলকে সমর্থন করে খেলা দেখার জন্য এই সময় পাড়ি দিচ্ছেন কাতারে। তবে সামনে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে কেই বা না চান! এমন ইচ্ছা রয়েছে অনেকের মনেই। কিন্তু, ইচ্ছে থাকলেই তো আর সব সময় তা সম্ভব হয় না। ফলে সেই শখ পূরণ করতে পারেন না অনেকেই। এমনই ইচ্ছে ছিল বৈদ্যবাটীর বাসিন্দা পঙ্কজ ঘোষের। কিন্তু, ইচ্ছে থাকলেও কাতারে যাওয়ার জন্য তাঁর যে পরিমাণ পয়সার দরকার তা তাঁর কাছে ছিল না। আর সেই ইচ্ছে পূরণের জন্য লাখ লাখ টাকা ধার করেই কাতারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।FIFA World Cup 2022 : ছিলেন বিশ্বকাপে ভারতের গোলরক্ষক, পেটের টানে এখন অটোই ভরসা অরিন্দমের
ব্রাজিলের সাপোর্টার পঙ্কজ
পঙ্কজ ঘোষ ব্রাজিলের সাপোর্টার। আর প্রিয় দলের খেলা দেখতে লাখ লাখ টাকা ধার করে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। আগামী ৯ ডিসেম্বর কাতার পাড়ি দেবেন। এবারেও তাঁর দলই চ্যাম্পিয়ন হবে বলেও আশাবাদী তিনি। ফ্রান্স থেকে কাতার, সপ্তম বারেও বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে মাঠে হাজির হবেন পঙ্কজ বাবু। নিজের জমানো টাকায় কুলোয়নি। কিন্তু, তাও তাঁর মনে প্রবল ইচ্ছে ছিল। আর সেই ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে হয়েছিল বিশ্বকাপ। সেটাই পঙ্কজের চোখে দেখা প্রথম বিশ্বকাপ। তারপর থেকে টানা সাত বছর বিশ্বকাপে পাড়ি দিয়েছেন।FIFA World Cup 2022: সেনেগাল-ক্যামেরুনে ফরাসিরা, ‘বিদেশি’ টিম নিয়ে বিশ্বকাপে ফ্রান্স
টাকা ধার করে কাতারে
এবার সেমিফাইনাল থেকে ফাইনাল মোট চারটি ম্যাচ দেখবেন সেখানে। প্লেনে যাতায়াত, থাকা-খাওয়া, খেলা দেখার টিকিট সব মিলিয়ে খরচ প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা। তার জন্য একটু একটু করে টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর জমা টাকা দিয়ে গোটা বিষয়টি একেবারেই সম্ভব নয়। আর সেই কারণেই ৫ লাখ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। পঙ্কজ নিজে দীর্ঘদিন ফুটবল খেলেছেন। পরে কোচিং করাতে শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে কোচিংয়ের ডিগ্রি অর্জন করেন, পরে রাজ্য ফুটবল সংস্থার সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে বৈদ্যবাটী চৌমাথা স্পোটিং ক্লাবের মাঠে কোচিং করেন। বর্তমানে তিনি একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজও করছেন।

 

পঙ্কজ বলেন, “ফ্রান্সের পরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ দেখেছি। ইউরো কাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা আমেরিকা কাপও দেখেছি। শুধু সেখানেই থেমে থাকিনি। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল উরুগুয়ের যে মাঠে হয়েছিল, সেই ‘এস্তাদিও সেন্ডেনারিও’ স্টেডিয়াম দেখে এসেছি। রাশিয়া বিশ্বকাপে আমি যে হোটেলে ছিলাম সেখানেই ছিলেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার দুঙ্গা। এক টেবিলে প্রাতঃরাশও সেরেছি।” বিভিন্ন দেশের পতাকা,স্মৃতি, জার্সি, বিশ্বকাপের লোগো রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।FIFA World Cup 2022 : কাতার বিশ্বকাপের প্রোমোতে গুমার বিপাশা, জাগলিংয়ের জাদুতে মজে ফুটবলপ্রেমীরা
ব্রাজিল ছাড়াও সাপোর্ট করেন ফ্রান্সকে
শখ থেকেই বিশ্বকাপ দেখতে যান বলে জানিয়েছেন পঙ্কজ। তবে আয় খুব বেশি না থাকায় খুবই সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু, তাও নিজেকে আটকে রাখতে পারেন না। বলেন, “ফ্রান্সে যে বার বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলাম তখন মাইনে পেতাম মাসে ২৬০০ টাকা। বন্ধুদের থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা ধার করে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। ব্রাজিল ছাড়াও আমার কাছে দ্বিতীয় দল স্পেন।” তবে আপাতত ব্রাজিলের সাপোর্টার হয়েই কাতারে পাড়ি দিচ্ছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version