বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাক্ষাৎ। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভার (West Bengal Assembly) এই চিত্র নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর তরজা। আচমকা কেন এই সাক্ষাৎ? কোন কোন বিষয় উঠে এল মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই সংক্ষিপ্ত বৈঠকে? বিরোধী পক্ষের তরফে এই নিয়ে নানা কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। কাটাছেড়া চলছে রাজনৈতিক মহলে।

Mamata Banerjee Suvendu Adhikari : ‘বিরোধীরা এলে আরও খুশি হতাম…’, বিধানসভার মিউজিয়াম উদ্বোধনে আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা-শুভেন্দু বৈঠকে (Mamata Suvendu Meeting) কী আলোচনা?

 

বিধানসভা সূত্রে খবর, এদিনের সংক্ষিপ্ত বৈঠকে একাধিক বিষয়ের মধ্যেই উঠে আসে শিক্ষা প্রসঙ্গ। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৩৪ বছর রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল বামফ্রন্ট। এখন আমরা ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) শিক্ষামন্ত্রী করেছি।” এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এই নিয়ে আপনার কোনও পরামর্শ থাকলে বলতে পারেন।”

Mamata Banerjee News: শুভেন্দুকে চা পানের প্রস্তাব, জবাবে মুখ্যমন্ত্রীকে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
মমতা-শুভেন্দু বৈঠক নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া CPIM-এর

রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বিধানসভায় আচমকাই ডেকে পাঠানোর এই ঘটনাকে সোজাভাবে দেখতে নারাজ CPIM। বাম নেতারা বলছেন, নিশ্চয়ই কোনও বোঝাপড়া করার জন্যই এই বৈঠক। এ প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালকে CPIM সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Bhattacharya) বলেন, “৩৪ বছরে বামফ্রন্ট যে শিক্ষা পরিকাঠামো তৈরি করেছিল তা সব বরং উনিই ধ্বংস করে দিয়েছেন। আর সব নিয়োগই টাকা দিয়ে হয়েছে। এ কথা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। শুভেন্দুকে ধরে কোনও লাভ নেই। বাঁচার কোও উপায় নেই। যতই টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে যাক না কেন। তদন্ত যাতে না এগোয়, বোঝাপড়ায় আসতে চাইছেন। বোঝাপড়া করলেও তদন্ত আটকানো যাবে না। তদন্ত এখন এতটাই এগিয়ে গিয়েছে যে বোঝাপড়া করে আটকানো যাবে না।”

Suvendu Adhikari News: মমতাকে প্রণাম শুভেন্দুর? যা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী…
CPIM নেতা রবীন দেব (Rabin Deb) বলেন, “সরকার পক্ষ এবং বিরোধী পক্ষ উভয় মিলেই তো সংসদীয় গণতন্ত্র। বিরোধী পক্ষের পরামর্শ যদি গঠণমূলক হয় তবে সেটা স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু, এ রাজ্যের শিক্ষা সচিবই বলেছেন, বেআইনি নিয়োগ ক্ষেত্রে সব কিছু নির্দেশমতো হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির কাছে শিক্ষা সচিব বলেছেন, যা কিছু হয়েছে মন্ত্রীর নির্দেশ মেনে হয়েছে। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর গোটা দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। লক্ষ্যণীয় বিষয় শুভেন্দুও তো একইসঙ্গে দল করেছেন। অনেক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনিও যুক্ত। অপ্রত্যাশিত নয় যে ওর কাছে সাহায্য চাইবেন। বিচলতি হয়ে গিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নমনীয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। না হলে তো সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতিনীতির তোয়াক্কা করেন না উনি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version