West Bengal News ডেঙ্গি (Dengue) নিয়ে BJP-র ডেপুটেশন (Deputation) ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল নৈহাটি পুরসভায় (Naihati Municipality)৷ শুক্রবার বিকেলে গৌরীপুর চৌমাথা থেকে মিছিল করে পুরসভা পর্যন্ত আসেন BJP কর্মীরা। পুরসভার গেটের সামনে তৃণমূল ও BJP একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশের উপস্থিতিতেই দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায় বলে অভিযোগ। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Uttarpara Municipality : প্রতিরোধে ব্যর্থ! ‘দুয়ারে ডেঙ্গি’ লেখা ব্যনার নিয়ে উত্তরপাড়ায় BJP-র বিক্ষোভ
BJP-র অভিযোগ, পুরসভার গেটে তৃণমূলি গুণ্ডারা তাদের ওপর চড়াও হয়। তাঁদের আন্দোলন প্রতিহত করতেই হামলা করা হয় বলে দাবি BJP-র৷ তৃণমূল- BJP-র বাকবিতণ্ডা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় বলেও দাবি৷ ফলে এদিন নৈহাটি পুরসভার সামনে রীতিমতো ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়৷ দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি উভয়পক্ষের৷ তবে এদিন এক মহিলা BJP কর্মীকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ কয়েকজন কর্মী মিলে তাঁকে তুলে নিয়ে যান৷ ওই মহিলা BJP কর্মী বলেন, “আমরা আন্দোলন করতে এসেছিলাম ডেঙ্গি নিয়ে৷ তাতেই তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাকে মারধর করেছে৷” তৃণমূলের হামলায় পাঁচ-ছ’জন আহত হয়েছেন বলেও দাবি BJP-র৷

Dengue Fever : ১ লাখ টাকা ঘুষ ইঞ্জিনিয়ারের! শাস্তির দাবিতে জলপাইগুড়ি পুরসভা অভিযান যুব মোর্চার
যদিও BJP কর্মীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁর দাবি, এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে৷ না হলে তাঁকে ইন্টিমেশন দেওয়া হত অনলাইন বা অফলাইনে৷ ফলে এদিন BJP-র ডেপুটেশন তিনি নিতে অস্বীকার করেন৷ তবে BJP-র কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হয় তাঁর৷ তাঁরা নৈহাটির কোন কোন ওয়ার্ডে ডেঙ্গি রয়েছে, তা নিয়ে ওয়াকিবহাল নন বলেও দাবি করেন তিনি৷ ডেঙ্গি প্রতিরোধে নিত্যদিন মশার তেল স্প্রে করা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর৷

Nishith Pramanik : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ‘কোচবিহারের লজ্জা’ পোস্টার, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
এই দাবি এক পুরকর্মীরও তিনি জানান, কোনও ইন্টিমেশন ছাড়াই BJP কর্মীরা ডেপুটেশন দিতে আসেন৷ সেখানে মহিলা কর্মীদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা হয়৷ এক মহিলা প্রতিবাদ করলে, তাঁর সোনার কানের দুল ছিনতাই করা হয়৷ পুর স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা নৈহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সনৎ দে বলেন, “আমরা এদিন যে যাঁর ঘরে ছিলাম৷ হঠাৎ দেখি ১০-১২ জন BJP কর্মী ঝান্ডা নিয়ে ঢুকছে৷ এরা এলাকায় দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত৷ অতীতে এদের বিরুদ্ধে অনেক চুরির কেস রয়েছে৷ ওরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে জেনে আমি নিজে ওদের তিনজন প্রতিনিধিকে তাঁর কাছে নিয়ে যাই৷” তবে এদিনের মারধর প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, পুরসভার এক কর্মীর কান থেকে সোনার দুল ছিনিয়ে নেয় BJP কর্মীরা৷ তখনই বাকি পুর কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি৷ তবে সেসময় পুরসভায় কোনও তৃণমূল কর্মী ছিলেন না বলেই দাবি তাঁর৷



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version