BJP-র অভিযোগ, পুরসভার গেটে তৃণমূলি গুণ্ডারা তাদের ওপর চড়াও হয়। তাঁদের আন্দোলন প্রতিহত করতেই হামলা করা হয় বলে দাবি BJP-র৷ তৃণমূল- BJP-র বাকবিতণ্ডা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় বলেও দাবি৷ ফলে এদিন নৈহাটি পুরসভার সামনে রীতিমতো ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়৷ দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি উভয়পক্ষের৷ তবে এদিন এক মহিলা BJP কর্মীকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ কয়েকজন কর্মী মিলে তাঁকে তুলে নিয়ে যান৷ ওই মহিলা BJP কর্মী বলেন, “আমরা আন্দোলন করতে এসেছিলাম ডেঙ্গি নিয়ে৷ তাতেই তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাকে মারধর করেছে৷” তৃণমূলের হামলায় পাঁচ-ছ’জন আহত হয়েছেন বলেও দাবি BJP-র৷
যদিও BJP কর্মীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁর দাবি, এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে৷ না হলে তাঁকে ইন্টিমেশন দেওয়া হত অনলাইন বা অফলাইনে৷ ফলে এদিন BJP-র ডেপুটেশন তিনি নিতে অস্বীকার করেন৷ তবে BJP-র কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হয় তাঁর৷ তাঁরা নৈহাটির কোন কোন ওয়ার্ডে ডেঙ্গি রয়েছে, তা নিয়ে ওয়াকিবহাল নন বলেও দাবি করেন তিনি৷ ডেঙ্গি প্রতিরোধে নিত্যদিন মশার তেল স্প্রে করা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর৷
এই দাবি এক পুরকর্মীরও তিনি জানান, কোনও ইন্টিমেশন ছাড়াই BJP কর্মীরা ডেপুটেশন দিতে আসেন৷ সেখানে মহিলা কর্মীদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা হয়৷ এক মহিলা প্রতিবাদ করলে, তাঁর সোনার কানের দুল ছিনতাই করা হয়৷ পুর স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা নৈহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সনৎ দে বলেন, “আমরা এদিন যে যাঁর ঘরে ছিলাম৷ হঠাৎ দেখি ১০-১২ জন BJP কর্মী ঝান্ডা নিয়ে ঢুকছে৷ এরা এলাকায় দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত৷ অতীতে এদের বিরুদ্ধে অনেক চুরির কেস রয়েছে৷ ওরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে জেনে আমি নিজে ওদের তিনজন প্রতিনিধিকে তাঁর কাছে নিয়ে যাই৷” তবে এদিনের মারধর প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, পুরসভার এক কর্মীর কান থেকে সোনার দুল ছিনিয়ে নেয় BJP কর্মীরা৷ তখনই বাকি পুর কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি৷ তবে সেসময় পুরসভায় কোনও তৃণমূল কর্মী ছিলেন না বলেই দাবি তাঁর৷