জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিএএ ইস্যুতে হাওয়া দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল বিধানসভায় মমতার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের ২৪ ঘণ্টা পরই রাজ্যসরকারকে সিএএ নিয়ে অল আউট আক্রমণে গেলেন বিরোধী দলনেতা। শনিবার ঠাকুরনগরের রেল মাঠে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সিএএ হবেই। দম থাকলে তা আটকে দেখাক। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সংখ্যালঘুদের উস্কে দিয়েছিলেন নিজের স্বার্থে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে কেন্দ্র। সেই রায় বের হওয়ার পরই রুল ফ্রম হবে। সিএএ লাগু হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। সবেমিলিয়ে সিএএ লাগু হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন-ফিক্সড ডিপোজিটে সিনিয়র সিটিজেনদের ৯ শতাংশ সুদ! আদৌ কি নিরাপদ লগ্নি?
শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের পর এনিয়ে পাল্টা সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, শুভেন্দু বড়বড় কথা বলে। সিএএ যদি হবেই তাহলে গত ৩ বছর ওরা সিএএ-র রুল ফ্রেম করতে পারলেন না কেন? ওরাই সিএএ লাগু করতে পারেনি। আমরা বিরুদ্ধে। যখন আমরা ক্ষমতায় আসব তখন সিএএ আটকাব। কাউকে উস্কে দেওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। এটা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী এসব বাজে কথা বলা ছাড়ুন। প্রতিবার ভোটের আগেই ওরা এসব ধুয়ো তোলে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এনিয়ে বলেন, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়েছেন তাঁর স্নেহের ভাই। ফলে তেজটা একটু বেড়ে গিয়েছে। সিএএ, এনআরসি-র প্রশ্নে ওরা রাজ্যের মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। রাজ্যের মানুষ যার এখানকার নাগরিক, ভোট দেন তাঁদের উনি ধমকাচ্ছেন কেন? এক সময় অনুপ্রবেশ অনুপ্রবেশ বলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় নিজেই চিত্কার করেছিলেন। এখন বিজেপি এসব করছে। এটা যদি জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময় হতো তাহলে শুভেন্দু এসব ভয় দেখানোর সুযোগই পেত না। রাজনৈতিক বিভাজন করে মানুষকে বিপদে ফেলা হয়েছে। এখন তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মানুষের নাগরিকত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়ে বলছে আমরা আছি। এসব মেনে নেওয়া যায় না।