রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নামে পোস্টার (Suvendu Poster) কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে শ্রমিকদের বঞ্চনার কথা। আর ওই পোস্টারে শুভেন্দুর নাম ও ছবি দেওয়া হয়। সেখানে লেখা রয়েছে শ্রমিকরা যদি শুভেন্দুর সঙ্গে থাকেল তাহলে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে তিনি শ্রমিকদের সব দাবিদাওয়া পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
হাইলাইটস
- শুভেন্দু অধিকারীর নামে পোস্টার কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে
- পোস্টারে শুভেন্দুর ছবির পাশাপাশি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়
- তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকরাই ওই পোস্টার দিয়েছিল বলে দাবি বিজেপির
কী রয়েছে সেই পোস্টারে?
সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে, “আমার কাছে খবর আছে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত। আমি যখন কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট দেখতাম বিগত বেতন পরিকাঠামো থেকেও অনেক বেতন বৃদ্ধিসহ সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলাম। তার সঙ্গে প্রতি তিন বছর অন্তর চাটার অফ ডিমান্ড করে দিয়েছিলাম।” আর যদি এখন শ্রমিকরা তাঁর পাশে থাকেন তাহলে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের যাবতীয় জিনিস পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে পোস্টারে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার অপু মজুমদার বলেন, “কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সব সময় শ্রমিকদের পাশে আছে।” যদিও সেই পোস্টার নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
পোস্টার ঘিরে শুরু রাজনৈতির তরজা
এই পোস্টার প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সেলিম আলি বলেন, “যে পোস্টার দেওয়া হয়েছে তা আগে জানার দরকার যে শুভেন্দু অধিকারী নিজে দিয়েছেন কিনা। কারণ সেখানে যেহেতু তাঁর ছবি দেওয়া রয়েছে তাই তাঁর কাছ থেকেই জানা দরকার। আর তিনি যদি স্বীকার না করেন তাহলে জানতে হবে যে এটা ভুয়ো। শ্রমিকদের সব দাবি পূরণ করে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা কোথাও বঞ্চিত নন। করোনার জন্য সেটা কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে তারপর আমাদের সরকার সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে শ্রমিকদের ইনসেটিভের ব্যবস্থা করেছে। শ্রমিকরা যাতে বঞ্চিত না হন তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।”
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র মাইতি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে সরব হয়েছিলাম। তারা যে বঞ্চিত হচ্ছিলেন একথা আমরা অনেক দিন ধরেই বলেছি। আর সেই কারণেই এই ধরনের পোস্টার এবার দেওয়া হয়েছে। এই পোস্টার ওখানকার শ্রমিকরাই দিয়েছেন। আসলে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা না পেয়েই তাঁরা এটা দিয়েছেন। তাঁরা মনে করেছেন যে এই মুহূর্তে বিজেপির মতো একটা দলের খুবই প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা দিয়েছেন।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ