এই সময়, আসানসোল, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া: আসানসোলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার কিছুক্ষণের মধ্যে জবাবও পেয়ে গেলেন। শনিবার আসানসোলে বিজেপির দলীয় সভায় মিঠুন জানান, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাদির সবচেয়ে বড় ফলোয়ার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর রাজনৈতিক গুরু বলে মন্তব্য করে মিঠুন বলেন, ‘তিনি যা যা করেছেন, আমিও তাই তাই করেছি।’ এর বিস্তারিত ব্যাখ্যায় মিঠুন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন। উনি যখন কংগ্রেস করতেন, আমি তখন ছাত্র পরিষদ করতাম। তার পর উনি তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করলেন। পরে সেখানে আমি যাই। এর পর মমতাদি সবার সাহায্য নিয়ে ক্ষমতায় আসেন। তার আগে তিনি বিজেপির সঙ্গে ১০ বছর ছিলেন। তার পর বিজেপির সঙ্গ ছাড়েন। আমি এখন বিজেপিতে।’

TMC Vs BJP : মহাগুরুর পালটা সভায় বাবুল-মহুয়া, ডিসেম্বরেই পুরুলিয়ায় ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল
মিঠুনের বক্তব্যের জবাব এসেছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে। রাঢ়বঙ্গের এই দুই জায়গাতেই কর্মিসভা করেছিলেন মিঠুন। সেখানেই পাল্টা সভা করেছে রাজ্যের শাসকদল। এদিন বাঁকুড়ার মেজিয়ায় তৃণমূলের সভায় ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে মিঠুনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কখনও বাল ঠাকরের সঙ্গে, কখনও সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে, কখনও বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নিজের দিদির মতো, বোনের মতো, তুলনা হয় না। আবার পরক্ষণে বলছেন তৃণমূলকে হারাতে হবে, নরেন্দ্র মোদী আমার দাদার মতো। যাঁরা এত ঘনঘন দাদা, দিদি বদলায় তাঁদের তো ভ্রাতৃ পরিচয় নিয়েই সংশয় হয়।’

Mithun Chakraborty : পঞ্চায়েত ভোটের আগে কিছু জেলায় দলের কর্মিসভায় মিঠুন
এদিন মিঠুনের রাঢ়বঙ্গ সফর নিয়েও কটাক্ষ করেন ব্রাত্য। বলেন, ‘আমি চাই, তিনি আরও বেশি করে ঘুরুন বাংলায়। কেননা আমি বিধানসভায় দেখেছি, উনি আমার কেন্দ্রে এসেছিলেন। আমি জিতে গিয়েছি। আমার পাশের কেন্দ্রে এসেছিলেন, সেও জিতে গিয়েছে। তার পাশের কেন্দ্রে গিয়েছিলেন, সেও জিতে গিয়েছে। পাশের জেলায় গিয়েছিলেন, সেখানেও তৃণমূল জিতেছে। এই ভাবে যদি বিজেপি গোটা বাংলায় মিঠুন চক্রবর্তীকে ঘোরাতে পারে, সব ক’টা পঞ্চায়েত, সব ক’টা জেলা পরিষদ আমাদের। দয়া করে মিঠুনকে ঘোরান। ঘুরিয়ে যান। আমাদের জয় আরও নিশ্চিত হবে।’
Mithun Chakraborty: ‘এক ছাতার তলায় আসতে হবে’, মমতাকে হারাতে রাম-বাম জোটের ইঙ্গিত মিঠুনের?
অন্য দিকে, পুরুলিয়ায় মিঠুনকে এক হাত নেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এখানেও সভা করে গিয়েছেন মিঠুন। সেখানে মিঠুনের ঢংয়েই মানস বলেন, ‘প্রথমে নকশাল, বাম, তৃণমূল পরে বিজেপি। কী যন্ত্রণায় পদ্মচাষিদের মঞ্চে তুমি। বাধ্য হয়েই মিঠুনকে এ সব করতে হচ্ছে।’ সভার পরে তিনি বলেন, ‘যে শিল্পগুলি ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে বাঁচিয়েছিল, যে ব্যাঙ্কগুলি মানুষকে বাঁচিয়েছিল, বিজেপির সময় সেই সব শিল্প বিক্রি হচ্ছে, ব্যাঙ্ক বিক্রি হচ্ছে, এলআইসি বিক্রি হচ্ছে, বিএসএনএল বিক্রি হচ্ছে, রেলকেও বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আমি মিঠুনবাবুকে বলব, চোখে ঠুলি না পরে, দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির নেতাদের জিজ্ঞেস করুন, কতগুলি প্রতিষ্ঠিত শিল্প কেন্দ্র সরকার বিক্রি করে দিয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version