পুলিশ সূত্রে খবর, কুলতলি থানার (Kultali Police Station) চুপড়িঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজিরহাট এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাজারে দোকানদারকে হুমকি এবং আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছিল ওই দুষ্কৃতী। পুলিশের কাছে এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। তার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। রবিবার রাতে শাহাজান মোল্লার সন্ধান পায় পুলিশ। এরপর কুলতলি থানার (Kultali Police Station) একটি দল রবিবার রাতে অভিযান চালায়। অভিযুক্ত শাজাহানকে আটক করার সময় প্রথমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বাধে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন কুলতলি থানার দুই পুলিশ কর্মী। অবশেষে শাহজাহানকে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, SI দীপঙ্কর দাস সহ আরও এক পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। আহত ২ জন পুলিশ কর্মীকে প্রথমে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় দুজনকেই জয়নগরের একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা গিয়েছে, শাহজাহান মোল্লা ওই এলাকায় কুখ্যাত এক জন দুষ্কৃতী। দীর্ঘদিন ধরেই সে কুলতলি থানা (Kultali Police Station) এলাকার বিভিন্ন এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম চালাচ্ছিল। কোনওভাবে একটি আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সে। ওই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রবিবারও সে আগ্নেয়ান্ত্র নিয়ে ঘুরছিল ভরা বাজারে। গোপন সূত্রে সেই খবর আসে পুলিশের কাছে। দুষ্কৃতীকে হাতে নাতে ধরতে চুপড়িঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজিরহাট এলাকায় যায় কুলতলি থানার পুলিশকর্মীরা। শাহজাহানকে ধরতে গেলে দীপঙ্কর দাস নামে একজন সাব ইন্সপেক্টর ও দুধ আলি মোল্লা নামের অপর একজন ভিলেজ পুলিশকে আক্রান্ত হতে হয়। বাকি পুলিশকর্মীরা শাহজাহানকে ধরে ফেলেন।
ধৃত কার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। তার সঙ্গে এই কাজে আরও কেউ যুক্তি কিনা সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।