কয়েকদিন আগে BJP বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সভা করেছিল ভগবানপুরে। ঠিক তারপরেই তৃণমূল নেতা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় BJP বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। তিনি বলেন, “আমরা এই ধরনের কাজের সাথে যুক্র নয়। নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। কয়েকদিন ধরে ওঁরা এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। আমাদের মিছিলে হামলা, এমনকি আমার বাড়ির সামনেও বোম মারা হয়েছে। মানুষ সব দেখছে। সঠিক সময়ে তার উত্তর দেবে।”
অন্যদিকে, রক্তাক্ত জখম তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিক জানান, সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ সভা ছিল। চায়ের দোকানে যাওয়ার সময় BJP-র জনা তিরিশ ‘হার্মাদ’ হামলা চালায়। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমাকে ঘিরে ধরে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করে। নিচে ফেলে দেয়। স্থানীয় দোকানদার ও পথচলতি মানুষরা প্রতিবাদ করায় তাঁরা সেখান থেকে চম্পট দেয়। তিনি বলেন, “বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। তৃণমূল কর্মীরা গিয়ে পিস্তলের গুলি উদ্ধার করেছে।”
রক্তাক্ত জখম ওই অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিককে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা আহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিককে ভূপতিনগর থানায় নিয়ে আসেন। থানার সামনে একটি রিক্সাতে রক্তাক্ত জখম ওই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে গোসাবায় গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী। রাতের অন্ধকারে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে গোসাবা থানার (Gosaba Police Station) শম্ভুনগর এলাকায় (West Bengal News)। গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থক মনোরঞ্জন মণ্ডল। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে।