বুধবার গেঁওখালি কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচন (Agriculture Co-Operative Society Election) অনুষ্ঠিত হয় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে। কোনওরকম বিবাদের ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ। গেঁওখালি কৃষি সমবায় সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১২০০। যদিও সমবায়ের মোট আসন ৪৯-এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৩০ টি আসনে। যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৮ টি আসন, CPIM পেয়েছে ৮ এবং BJP পেয়েছে ৪ টি আসন। বাকি ১৯ আসনে নির্বাচন হচ্ছে। প্রার্থী সংখ্যায় রয়েছে মত ৪১ জন। ৪ টি বুথ কেন্দ্রে সকাল ১০ টা থেকে ভোট গ্রহণ করা হয়।
জোটের ব্যাপারে সমবায় তৃণমল নেতা বলেন, “যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে সমবায় পরিচালনার ক্ষেত্রে। স্থানীয়ভাবে এই সমবায়কে রক্ষা করার ক্ষেত্রে আমরা জোট বদ্ধ হয়েছি কংগ্রেসে সঙ্গে।” অন্যদিকে, কংগ্রেসের প্রতিনিধি জানান, “আমরা দুজনেই জাতীয়তাবাদী দল। BJP-কে আটকানোর জন্য আমরা কয়েকটি ক্ষেত্রে জোট বদ্ধ হয়ে লড়েছিলাম।”
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সমবায় সমিতির নির্বাচনেও জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। গত রবিবার নন্দকুমারের শ্যাম সুন্দরপুর সমবায় সমিতির ১২ টির মধ্যে ১০ টি আসনে জয়লাভ তৃণমূলের। বাকি দুটিতে জয় পেল BJP। অন্যদিকে, পাঁশকুড়ায় মঙ্গলধারী ইউনাইটেড সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনেও তৃণমূলের জয় হয়। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে CPIM। সমবায়ের মোট আসন ১২ টি। যার মধ্যে ৭টি তৃণমূল, ৪ টি CPIM এবং ১ টি BJP পেয়েছে। তৃণমূল ৭ টি আসনে জয়লাভ করে বোর্ড গঠনের দায়িত্ব পায়।
এর আগে মহিষাদলে কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় পরিচালন সমিতির ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পায় তৃণমূল। ৭৬টি আসনের মধ্যে ৬৮টিতে জয় হয় তৃণমূলের। বাম-BJP জোট পায় ৮টি আসন। তবে গত ৯ নভেম্বর নন্দকুমারের ‘বহরমপুর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড’-এর নির্বাচনে ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছিল বাম-BJP জোট। ৬৩টি আসনের সব ক’টিতেই তৃণমূলকে পরাস্ত করে নজির গড়েছিল তাঁরা।