কাঁথির সভার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর রবিবার হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর এলাকায় পৌঁছন কুণাল ঘোষ।
হাইলাইটস
- শনিবার কাঁথির সভার আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
- অভিষেকের কথা মতো কুণাল ঘোষ হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর এলাকা ঘুরে দেখেন
- কুণালের সামনে একাধিক সমস্যার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা
স্বাধীনতার এত বছর পরও বিদ্যুৎ নেই হলদিয়ার দুই গ্রামে!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামের ঘরে পৌঁছে যায় বিদ্যুৎ এবং জল। সেখানে ব্যতিক্রম হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর গ্রাম। এখানে স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ! আর তা দেখেই অবাক হয়ে যান কুণাল ঘোষ। নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে এতদিন বামেরা এবং অধিকারীরা কী কাজ করল? রাজ্যের প্রতিটি কোণায় যখন উন্নয়ন পৌঁছে যাচ্ছে সেখানে এখনও হ্যারিকেনের আলোয় দিনযাপন করতে হচ্ছে বন্দরশহরের বাসিন্দাদের। বিদ্যুৎ পেতে বাম নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। পরে শুভেন্দু অধিকারীর কাছেও দরবার করেন তাঁরা। তারপরও এই দুই গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি বলে অভিযোগ।
কুণালের কাছে কী কী অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা?
বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর এলাকা ঘুরে দেখার পর কুণাল ঘোষ বলেন, “শনিবার সন্ধেয় কাঁথি থেকে হলদিয়া চলে আসি। রবিবার সকালে মাখনবাবুর বাজার মোড়ে বসে চা খাচ্ছিলাম। স্থানীয়দের সঙ্গে সেখানে আমার কথা হয়। সেই সময়ই গ্রামবাসীরা একাধিক অভিযোগ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন দুই গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। রাস্তার মানও খারাপ। শুভেন্দু এবং শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগও ওঠে। সেই কারণে তাঁদের অনুরোধেই তাঁদের গ্রামে গিয়েছিলাম। বন্দরের জমি সংক্রান্ত কিছু জটিলতা আছে শুনলাম। কেন দুই গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছানো যাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এলাকার মানুষকে জানাই। এখন আমাদের তরফে কতটা কী করতে পারি তার চেস্টায় রয়েছি।”
শনিবার জনসংযোগ অভিষেকের
উল্লেখ্য, শনিবার কাঁথিতে সভাস্থলে (Abhishek Banerjee Rally) পৌঁছনোর আগে স্থানীয় গ্রামে ঢুকে জনসংযোগ সারেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। বাড়িতে ঢুকে শোনেন সাধারণের সমস্যা। কারও অভিযোগ শুনে জেনে নেন পঞ্চায়েত কাজ করছে কিনা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) গড় বলে খ্যাত কাঁথির গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে শোনেন সমস্যা। আর তাঁকে সামনে পেয়ে বাসিন্দারাও মন খুলে জানান সমস্যার কথা। কেউ পাননি বাড়ি, কারও ভোটার কার্ডে সমস্যা তো কারও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের টাকা পাননি। অভিযোগ শুনে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বাড়িতে ঢুকে খতিয়ে দেখেন সমস্যা। সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি। গাড়ি থামিয়ে গ্রামে গ্রামে কথা বলার পর সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ