পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার প্রভাত কলোনির বাসিন্দা ধুরুব নারায়ণ কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়ের হয় পুরুলিয়া মেটাল কাস্টিং প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর ভবনীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, তাঁর ছেলে অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় সহ সুশীল কুমার, রাম কৈলাস যাদব, রবিন দাস ও গৌতমকুমার সেন নামে কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, ২০১৬ সাল নাগাদ বোকারোতে ওই ভবানীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর যৌথ ব্যবসা চালানোর জন্য একটি আলোচনা হয়। ২০১৮ সালের ৬ ও ৭ ডিসেম্বর ৫০ লাখ করে তিনি এক কোটি টাকা ঋণ নেন। যা তাঁর ব্যাঙ্কের তহবিলে জমা হয়।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ফের ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা নেন ওই অভিযুক্ত। কারখানায় কাজের জন্য ঝাড়খণ্ডের শিল্পপতির কাছ থেকে ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার কাঁচামাল নেয় ওই ডিরেক্টর ভবানীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলে অভিযোগ। তার ভিত্তিতে পুরুলিয়া মেটাল কাস্টিং প্রাইভেট লিমিটেডের ২.৮০ শতাংশ শেয়ার দেওয়া হয় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) শিল্পপতিকে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ওই শিল্পপতি ধুরুব নারায়ণকে তাঁদের কারখানায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তখনই তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নিতুড়িয়ার বাসিন্দা অরূপ মাঝির সঙ্গে ভবানীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই মউয়ের মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্ত ভবানীপ্রসাদ। তাই ওই কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল অরূপ মাঝিকে। কিন্তু ভবানীপ্রসাদ ও তাঁর ছেলে ষড়যন্ত্র করে অরূপ মাঝিকেও ডিরেক্টর পদ থেকে বাদ দিয়ে দেয়। একইভাবে ঝাড়খণ্ডের শিল্পপতিও প্রতারিত হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া লাগোয়া বাংলা-ঝাড়খণ্ড শিল্পমহলে। যদিও এদিন বাঁকুড়া আদালতে পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ভবানী মুখোপাধ্যায়।