
পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে তমলুকের বর্গভীমা মন্দির। পবিত্র যজ্ঞের জন্য সারা বছর ধরে মুখিয়ে থাকেন তমলুক সহ জেলার মানুষ। লাখ লাখ ভক্তের ভিড় তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে৷
হাইলাইটস
- সপ্তসতী যজ্ঞ ও বাৎসরিক পুজো উপলক্ষে বুধবার সেজে উঠেছে তমলুকের বর্গভীমা মন্দির।
- সারা বছরই এই পবিত্র যজ্ঞের জন্য মুখিয়ে থাকেন তমলুক সহ জেলার মানুষ।
- বহু দূর দূরান্ত থেকেও ভক্তরা ভিড়ে করেছে এই যজ্ঞে সামিল হতে।
ফলে এবছর ফের নতুন উদ্যমে পুজোর আয়োজন শুরু করেছেন মন্দিরের দায়িত্বে থাকা সেবায়েতরা৷ করোনার পর এবছর প্রচুর ভক্ত সমাগমও ঘটেছে মন্দির চত্বরে৷ এই যজ্ঞানুষ্ঠান উপলক্ষে দশম মহাবিদ্যা ছাড়াও ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, মহাকালী, রুদ্র, শান্তি, নবগ্রহ, বরুণ, বাচস্পতি সহ বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা হয়। এখানকার সেবায়েতদের দাবি, এই মহাযজ্ঞের মূল উদ্দেশ্য হল, বিশ্ববাসীর শান্তি কামনা করা৷ যাতে সকলে ভালো থাকে৷ এক সেবায়েত বলেন, ‘‘এটি ৫১ পীঠের একটি অন্যতম পীঠস্থান৷ এখানে বাৎসরিক একটি অনুষ্ঠান হয় বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ৷ প্রতি বছরই কাত্যায়নী চতুর্দশী তিথিতে এই মন্দিরে এই পুজো হয়৷ একত্রে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর সহ অনেক দেব দেবীকে আহ্বান করি আমরা৷ বহু পুরোহিত মিলে এই যজ্ঞানুষ্ঠান করে থাকেন৷ এই পুজোর মূল উদ্দেশ্য, বিশ্বের শান্তি কামনা করা৷’’
তবে এই পুজোয় মহাযজ্ঞের আগুন দেশলাই বা অন্য কিছু দিয়ে ধরানো হয় না বলেই জানান তিনি৷ এখানে সূর্যের আলো থেকে আগুন প্রজ্জ্বলিত করা হয়৷ সেই আগুন যজ্ঞে দিয়ে পুজো শুরু হয়৷ এটা এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ৷ তিনি জানান, প্রতিবছর এখানে লাখখানেক লোকের সমাগম হয় এই বিশ্ব শান্তি যজ্ঞানুষ্ঠান উপলক্ষে৷ করোনার জন্য দু’বছর বন্ধ ছিল৷ ফলে এবার ফের সকলে উপস্থিত হলেও, লোক সমাগম আগের মতো নয় বলেও দাবি তাঁর৷ আগামী বছর আরও ভক্ত সমাগম ঘটবে বলেই দাবি সেবায়েতের৷
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ