বিবাহবার্ষিকীতে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার শিক্ষক দম্পতির। তাঁদের এই উদ্যোগ আরও একাধিক মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশাবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।

 

মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার

হাইলাইটস

  • বিবাহবার্ষিকীতে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করলেন তাঁরা।
  • বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষক দম্পতি কৌশিক মাহাতো ও অন্তরা মাহাতো।
  • শনিবার তাঁদের 20তম বিবাহবার্ষিকী ছিল।
বিবাহবার্ষিকীটা একেবারে অন্যভাবে পালন করতে চেয়েছিলেন বীরভূমের দুবরাজপুর শিক্ষক দম্পতি। একে অপরকে দামী উপহার দেওয়া বা লোকজন নিয়ে উৎসব করা নয়, তাঁরা চেয়েছিলেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তাই এবার বিবাহবার্ষিকীতে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করলেন তাঁরা। বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষক দম্পতি কৌশিক মাহাতো ও অন্তরা মাহাতো। শনিবার তাঁদের ২০তম বিবাহবার্ষিকী ছিল। এদিন তাঁরা মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেন। এদিন দুর্গাপুর ব্লাইণ্ড রিলিফ সোসাইটির প্রতিনিধি সহ প্রচেষ্টা নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য অভীক মিশ্র তাঁদের নির্দিষ্ট ফর্মে সই করিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ করান।

TET Exam 2022: টেট দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, গুরুতর আহত পরীক্ষার্থীর পরিবার
এদিন শিক্ষক কৌশিক মাহাতো বলেন, “আমরা আজ মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করলাম। সমাজ যাতে এই উদ্যোগে এগিয়ে আসে সেই বিষয়ে আমরা সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছি। মৃত্যুর পর যদি আমাদের চোখ কোনও দৃষ্টিহীন মানুষের কাজে লাগে সেক্ষেত্রে আমাদের চোখ দিয়ে তাঁরা পৃথিবীকে নতুন করে দেখতে পাবে। তার পরিবারের সদস্যরাও আনন্দিত হবেন। এটাই তো আমাদের বড় পাওনা!” অন্যদিকে, শিক্ষিকা অন্তরা মাহাতোও স্বামীর সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, “আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা স্বামী-স্ত্রী মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছি। মৃত্যুর পর যদি আমাদের চোখ কারও দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারে সেটা তো আনন্দের। পুড়িয়ে দিলে তো সব ছাই হয়ে যায়। কিন্তু, আমার মৃত্যুর পর যদি আামার কোনও অঙ্গ কাউকে নতুন করে বাঁচার আশা দেখায় সেক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়! আমি হয়তো তাঁর খুশি দেখার জন্য থাকব না। কিন্তু, পরিবারের সদস্যরা দেখতে পারবেন। আমি মরনোত্তর চক্ষুদান করে খুব খুশি। ”

Birbhum News : চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সিউড়ি হাসপাতালে
বাবা মায়ের এই উদ্যোগে খুশি তাঁদের ছেলেও। এদিন অভীক মিশ্র বলেন, “আমরা যখন মরণোত্তর চক্ষুদানের এই উদ্যোগ শুরু করেছিলাম তখনও ভাবিনি যে মানুষের মধ্যে তা সাড়া দেবেন। কিন্তু, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। কৌশিকবাবুরা দীর্ঘ দেড় মাস ধরে এই উদ্যোগের জন্য পদক্ষেপ করছেন। তাঁদের এই উদ্যোগে আরও অনেকে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসবে বলে আশা করছি। মৃত্যুর পর যদি কারও চোখ দিয়ে অন্য কেউ পৃথিবীটাকে দেখতে পায় ক্ষতি কী! সাধারণ মানুষ আরও সচেতন হলে এই লড়াইটা সহজ হবে।”

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version