যদিও এবার তিনি নিজেই নাম বাতিলের আবেদন করলেন BDO কে। তাঁর দাবি, আবাস যোজনার সার্ভের সময় তাঁর পাকা বাড়ি না থাকায় আবেদন করেছিলেন৷ যদিও এনিয়ে সরব হয়েছে BJP৷ রাজ্যজুড়ে আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভের আগুন উপলব্ধি করতে পেরেই তিনি আগেভাগে নিজের নাম বাতিলের আবেদন করলেন করে BDO কে চিঠি দিয়েছেন বলেই দাবি স্থানীয় BJP নেতৃত্বের৷
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রায়না এক নম্বর ব্লকের তালিকায় ৬৮১ নম্বরে নাম রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মোহন্তর। রত্না মোহন্ত রায়না এক নম্বর ব্লকের নতুন অঞ্চলের হরিপুরের বাসিন্দা। সেখানেই তাঁর পাকা বাড়ি আছে। এই বিষয়ে রত্না মোহন্ত বলেন, “যখন সার্ভে হয় তখন আমার একটি মাটির বাড়ি ছিল। তাও খুব খারাপ অবস্থা ছিল বাড়ির৷ এরপর তালিকায় আমার নামও আসে৷ তবে বর্তমানে আমি পাকা বাড়ি করেছি। তাই আমার জায়গায় যাতে অন্য কোনও দুঃস্থ মানুষ এই সুযোগ পায়, তার জন্যই নাম বাতিলের আবেদন জানিয়েছি।”
যদিও তাঁর একথা মানতে নারাজ BJP৷ স্থানীয় BJP নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রর দাবি, খণ্ডঘোষের জাহাঙ্গির শেখের পর এবার রায়নার পঞ্চায়েত সভাপতির নাম উঠে এল আবাস যোজনার নামের তালিকায়৷ যদিও তিনি BDO কে তাঁর পাকা বাড়ি আছে বলে চিঠি দিয়েছেন৷ কিন্তু সেটা তিনি সততার জন্য নয়, BJP কর্মীরা যেভাবে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হয়েছে, তাতেই ভয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন বলেই দাবি এই BJP নেতার৷ তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার দরিদ্র মানুষকে পাকা বাড়ি করার জন্য টাকা দেয়৷ আর এই তৃণমূল সরকার নাম পালটে সেটাকে বাংলা আবাস যোজনা নামে চালিয়েছে, এখন আবাস প্লাস নামে চালানোর চেষ্টা করছে৷ সেই তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত যাদের বাড়ি পাওয়ার কথা তাদের বঞ্চিত করে তৃণমূলের কোটিপতি নেতাদের আত্মীয়স্বজনের নাম রয়েছে৷”
এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন, সততার নজির, নাকি আবাস যোজনা নিয়ে বিরোধীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের চাপে নতি স্বীকার?